অভিষেকের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগের ঘটনায় কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দেকে থানায় তলব করেছিল পুলিশ। এবার বিজেপি বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন তিনি থানায় যাবেন। তিনি শেক্সপিয়র সরণি থানায় হাজির হবেন বলে নিখিল নিজেই জানিয়েছেন। এনিয়ে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকেও পরামর্শ নিয়েছেন। এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, তিনি থানায় গিয়ে দেখা করবেন। পুলিশকে তিনি সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
নিখিলরঞ্জন দে বলেন, দেশের একজন নাগরিক ও বিধায়ক হিসাবে তদন্তের স্বার্থে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব। ইতিমধ্য়েই এই বিষয়ে আমাদের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও আমাকে তদন্তের স্বার্থে যাওয়ার জন্য বলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন পুলিশ এসে আমায় সমনের কাগজ দিয়েছে। আমি থানায় দেখা করব। সোমবারই তিনি থানায় গিয়ে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন। রবিবার রাতেই তিনি কলকাতার দিকে রওনা দিয়েছেন বলে খবর। সেক্ষেত্রে সোমবারই তিনি কলকাতায় শেক্সপিয়র থানায় দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে যে চিঠির ভিত্তিতে অভিযুক্তরা এমএলএ হস্টেলে ঘর পেয়েছিলেন সেই নথিটা দেখতে চান নিখিলরঞ্জন।
এদিকে গোটা ঘটনার একেবারে পরতে পরতে রহস্য।
ঘটনাটি ঠিক কী?
কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে ফোন এসেছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম করে ফোন করা হয়েছিল। কালনা পুরভার পুরপ্রধানের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে তাঁর তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে তিনজন।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা আনন্দ দত্তকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছিল। আর সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল এমএলএ হস্টেলে। কিন্তু এমএলএ হস্টেলে সেই দুষ্কৃতীরা থাকার সুযোগ পেল কীভাবে?
এখানেই রয়েছে কাহিনিতে অন্য একটা মোড়। সেখানে আবার দেখা গিয়েছে, এমএলএ হস্টেলের যে ঘরে ওই তিনজনকে পাওয়া গিয়েছে সেই ঘরটি আবার কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দের নামে বুকিং করা। এখানেই প্রশ্ন নিখিলরঞ্জন দের নামে বুক কীভাবে করা হল?
এদিকে সেই খবর শোনার পরেই গোটা ঘটনায় কার্যত আকাশ থেকে পড়েছেন নিখিলরঞ্জন দে। কারণ তাঁর দাবি যারা এই ঘর বুক করেছে তাদের তো চিনিই না। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, যাকে আমি চিনি না তাকে ঘর দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি যদি ঘর দিই তবে তো আমার প্যাডে সুপারিশপত্র লাগবে।তেমন তো কিছু আমি দিইনি। কে কার নামে কোথা থেকে ঘর বুক করবে তার দায় আমি কীভাবে নেব, প্রশ্ন নিখিলরঞ্জনের।
তবে এবার সেই নিখিলরঞ্জনের কাছ থেকে পুলিশ জানতে চাইছে এই এমএলএ হস্টেলের ঘর বুক সংক্রান্ত বিষয়টি।