দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভোটার তালিকা হাতে দিন কয়েক আগেই ভুয়ো ভোটার খুঁজতে বেরিয়েছিলেন এলাকায়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিলিয়েছিলেন তালিকা। সেই তৃণমূল নেতারই নাম না কি ২ জায়গার ভোটার তালিকায়। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে এমনই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। পালটা তৃণমূলের দাবি, ভোটার তালিকা সংশোধন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
আরও পড়ুন - মুর্শিদাবাদে ২ দিন ধরে বেগালাম চলছে হিন্দুদের মন্দির - সম্পত্তি ভাঙচুর,দাবি BJPর
পড়তে থাকুন - ভুয়ো ভোটার ধরতে বেরিয়েছিলেন দিনকয়েক আগে, সেই TMC নেতার নামই ২ জায়গার তালিকায়
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের ডোমকলের সালামপুর এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বসির মোল্লার নাম ২ জায়গার ভোটার তালিকায় রয়েছে। সালামপুর অঞ্চলের কলাবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলের ভোটার তিনি। সেখানে রয়েছে তাঁর ভোটার কার্ড। আবার বেনিয়াখালি এলাকার পঞ্চাননপুরেও ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে বসিরের। সেখানে রয়েছে আলাদা ভোটার কার্ড।
অভিযোগ অস্বীকার করে বসির মোল্লা বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে সালামপুরে চলে আসি। তার পর কী করে বেনিয়াখালির ভোটার তালিকায় আমার নাম রয়ে গেল জানি না।
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা সেই কাজ করেনি, তার দায় কোনও ভোটারের হতে পারে না। ওদিকে বিজেপির দাবি, নির্বাচন কমিশনের হয়ে রাজ্যে কাজ করেন রাজ্য সরকারি আধিকারিকরা। জেনে বুঝেই তৃণমূল নেতার নাম তাঁরা ২ জায়গার ভোটার তালিকায় রেখে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন - শুভেন্দুর খাসতালুকে BJPতে ভাঙন, তৃণমূলে যোগদান করলেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল
বলে রাখি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই বসির মোল্লার বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বুথের সামনে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তখন তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল ১টি আগ্নেয়াস্ত্র।