মাদ্রাসায় ঢুকে পড়ুয়া থেকে আবাসিকদের একের পর এক কোপ। আর এই ঘটনায় বুধবার রাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বনগাঁয়। অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেলে তাকে জনতার হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। এর পর থানার গেট ভেঙে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাদ্রাসায় তাণ্ডবে গ্রেফতার যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত যুবকই মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে মা - বাবাকে খুন করেছে বলে দাবি পুলিশের।
বুধবার রাতে বনগাঁর খান শরিফ মাদ্রাসায় প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাবালক ছাত্র ও আবাসিকদের আঘাত করতে শুরু করে। যুবককে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। শুরু হয় গণপিটুনি। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
পুলিশের সঙ্গে থানায় পৌঁছয় কয়েক শ জনতা। অভিযুক্তদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর গেট ভেঙে থানায় ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালান তাঁরা। এর পর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের থানা থেকে বার করে দেয়। এই ঘটনায় ১০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর পর পুলিশের তরফে জানানো হয়, ধৃত যুবকের নাম হুমায়ুন কবির। মঙ্গলবার রাতে মেমারির কাশিয়াড়া কাজিপাড়ায় বাবা ও মাকে গলা কেটে খুন করে সে। তার পর চলে আসে বনগাঁয়। বনগাঁয় এসে মাদ্রসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় সে।
এর পর বনগাঁ পুলিশের তরফে এস সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানানো হয়েছে, ধৃত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। সে ৪ জনকে আঘাত করেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। দয়া করে এই ঘটনা নিয়ে কোনও গুজব ছড়াবেন না।