নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে চাকরি হারানোর আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে হাজার হাজার যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। তারই মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে এল অধ্যাপক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে নম্বরে কারচুপি করে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি অযোগ্যদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে একাধিক সংগঠন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যা হয়েছে, হয়েছে নিয়ম মেনে। সবার সম্মতিতে।
উত্তরবঙ্গ তফশিলি সংগঠনের দাবি, ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ও জীববিদ্যা বিভাগে অধ্যাপক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। ২ বিভাগেই নম্বরে কারচুপি করে অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছে তারা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাত বর্মন বলেন, বাংলা বিভাগে প্রার্থীদের তালিকায় অভিজিৎ বর্মনের নাম ছিল সবার ওপরে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৫.৩০। তালিকায় শেষে ছিলেন কল্পনা রায়। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৮.৬৫। কিন্তু টেবুলেশন শিটে ব্যাপক কাটাকাটি করে কল্পনা রায়ের নম্বর বাড়িয়ে করা হয় ৬৩.৬৫ ও অভিজিৎবাবুর নম্বর কমে হয় ৬৩.৩০।
একই ঘটনা ঘটেছে জীববিদ্যা বিভাগেও। সেখানে একই ভাবে কাটাকাটি করে নম্বর কমানো হয়েছে সুতপা সান্যালের। নম্বর বাড়ানো হয়েছে হাদিদা ইয়াসমিনের। প্রভাতবাবুর দাবি, এই ২ নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তাই এর সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার।
যে উপাচার্যের আমলে এই ২ নিয়োগ হয়েছে সেই দেবকুমার মুখোপাধ্যায় দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য অধ্যাপক নিয়োগের কমিটিতে থাকেন না। তালিকা তৈরি করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই কমিটির কোনও সদস্য কাটাকাটি করে থাকলে তাঁর সই পাশে থাকা উচিত। তাছাড়া ২টি নিয়োগই সর্বসম্মতিক্রমে হয়েছে।’