কেন্দ্রীয় সরকার এখন অমৃত ভারত প্রকল্পে দেশের নানা স্টেশন সৌন্দর্যায়ন করতে উদ্যোগী হয়েছে। তাতে বাংলার বেশ কয়েকটি রেল স্টেশনও আছে। কিন্তু এই কৃতিত্ব সম্পূর্ণ এনডিএ সরকারের বলে প্রচার করতে শুরু করেছে বঙ্গ–বিজেপি। আর সেটা নিয়েই এবার বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এটা যে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার তা প্রমাণ–সহ তথ্য খাঁড়া করলেন কুণাল। যা নিয়ে রাজনৈতিক বাতাবরণ সরগরম।
রেল এবং মেট্রো নিয়ে যে কাজ হচ্ছে তাকে সামনে রেখে মিথ্যাচারের রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। রেল স্টেশনগুলির এলাকাভিত্তিক সৌন্দর্যায়ন নিয়ে বিজেপি রীতিমতো মিথ্যাচারের ক্যানেস্তারা পেটানো শুরু করেছে বলে অভিযোগ করলেন কুণাল ঘোষ। আর এসব দেখে বাংলার মানুষ এবং দেশের বহু মানুষও হাসছেন বলেও তাঁর দাবি। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সম্প্রতি রেল স্টেশনগুলির সৌন্দর্যায়ন নিয়ে হইচই করছে বিজেপি। বিষয়টা এমন যেন বিজেপি আমলেই এসব শুরু হয়েছে। বিজেপি ডাহা মিথ্যাচার করছে। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। বাস্তব হচ্ছে, বিজেপি এখন যা যা করার কথা বলছে সেসব অনেক আগেই রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিকল্পনা করে গিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: চাকরিহারা শিক্ষকদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি, সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক
রেল স্টেশনগুলির স্থানীয় বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হচ্ছে। যাতে মানুষের কাছে সেখানকার বিষয়গুলি সম্পর্কে অবগত করা যায়। আবার পর্যটকরা এলেও সেখানের বিষয়ে জানতে পারবেন। এই কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন শুরু হয়েছিল। যা বিজেপি নিজেদের নামে চালাতে চাইছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘২০০৯ অথবা ২০১০–১১ সালের রেল বাজেট এবং তাঁর ভিশন ২০২০’র দিকে তাকালেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। দেশের স্টেশনগুলিকে সেই এলাকার ইতিহাস, ধর্মীয় সংস্কৃতি কিংবা স্থানীয় বিখ্যাত কিছুর আদলে তৈরি করার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দক্ষিণেশ্বর রেলের টিকিট কাউন্টার যা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে তৈরি সেটা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাতেই তৈরি। এমনকী মেট্রো স্টেশনগুলি মনীষীদের নামে চিহ্নিত করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই হয়েছিল।’
এখন আর পৃথক রেল বাজেট হয় না বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তৎকালীন রেলমন্ত্রী অধুনা বাংলার তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা নিজেদের নামে চালাতে চাইছে বিজেপি বলে অভিযোগ। তাই কুণালের কথায়, ‘আজ মেট্রো রেলের সম্প্রসারণও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করেই। দিঘার ট্রেন কার চালু করা? উত্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঐতিহ্য তৈরি করেছেন, সেই ঐতিহ্য এখনও বহন করে চলেছে রেলমন্ত্রক। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলির বাস্তবায়নে এত দেরি হল কেন? উঠছে প্রশ্ন। আসল ঘটনা বাংলার মানুষ জানেন, দেশের মানুষও বোঝেন। তাঁরা এই মিথাচারের জবাব যথাসময়ে দেবেন।’