গঙ্গার জলবণ্টন চুক্তি সঠিক ভাবে মেনে চলছে ভারত। খারিফ মরশুমে বাংলাদেশে পদ্মা নদীতে যে জলের অপ্রতুলতা দেখা যায় তার জন্য ভারত দায়ী নয়। প্রাকৃতিক কারণেই নদীতে কমে জলের প্রবাহ। ফরাক্কা ব্যারাজের ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করে এমনই জানালেন বাংলাদেশের ইউনুস প্রশাসনের আধিকারিকরা। যার ফলে ভারতের বিরুদ্ধে গঙ্গার জল আটকে রাখার যে অভিযোগ বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের একাংশ করেন তা খারিজ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন - নীল ট্রলিতে পিসিশাশুড়ির দেহ.. লাল ট্রলিতে কী? মধ্যমগ্রামকাণ্ডে ২য় ব্যাগের হদিশ
পড়তে থাকুন - হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম! চিন্তায় শুভেন্দু, আরএসএস শিবিরে উঠল কথা
ফরাক্কা ব্যারাজের ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা এসে পৌঁছয় ইন্দো - বাংলা জয়েন্ট রিভার কমিশনের ওপার বাংলার প্রতিনিধিরা। সোমবার রাতে তাঁরা ফরাক্কা পৌঁছন। তাঁদের স্বাগত জানান ফরাক্কা ব্যারাজের জেনারেল ম্যানেজার আরডি দেশ পাণ্ডে। মঙ্গলবার সকালে ব্যারাজে জলের প্রবাহ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ফরাক্কা ব্যারাজে কী পরিমাণে জল আসছে আর কত জল পদ্মায় প্রবাহিত হচ্ছে তাঁর হিসাব নেন নদী বিশেষজ্ঞরা। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশের প্রধান সদস্য আবুল হোসেন বলেন, ‘নদীতে জলের প্রবাহ কমাটা একটা প্রাকৃতিক বিষয়। জানুয়ারিতে পদ্মায় জলের প্রবাহ ভালো ছিল। ফেব্রুয়ারিতে কমেছে। ফরাক্কা জলবণ্টন চুক্তি অনুসারেই জল ছাড়ছে ভারত।’
আরও পড়ুন - NRS থেকে ছাড়া পেলেন ট্যাংরার দে বাড়ির ছোট কর্তা, প্রসূনকে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ
বর্ষায় বাংলাদেশে পদ্মায় জলের প্রবাহ বৃদ্ধি হওয়ায় বহু জায়গায় বন্যাপরিস্থিতি দেখা যায়। আর বন্যা হলেই ভারতকে দায়ী করে সেদেশের রাজনীতিবিদদের একাংশ। ভারত বিদ্বেষ তৈরি করতে পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করে থাকে তারা। যদিও ভারতের তরফে বারবার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গঙ্গায় জলের প্রবাহ বাড়লে তা আটকে রাখার কোনও ব্যাবস্থা নেই। ফরাক্কা বাঁধ না থাকলেও গঙ্গার নিম্নগতিতে বন্যা হতই। বাঁধ যখন ছিল না তখনও প্রায় প্রতি বছর বন্যা হয়েছে। মূলত গঙ্গার পলিতেই গঠিত হয়েছে বিস্তীর্ণ উর্বর গাঙ্গেয় সমভূমি।