বোলপুরের ভোল ব্যোম রাইস মিলে অনুব্রতর ব্যবহার করা একাধিক গাড়ি। তবে এই গাড়িগুলির সঙ্গে পরিচিত অনেকেই। এর মধ্যেই একটি গাড়িতে আগে লালবাতি লাগানো ছিল। সেই গাড়িতে চেপে এসএসকেএম হাসপাতালেও গিয়েছিলেন অনুব্রত। পরে লালবাতি লাগানো নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ওই গাড়ি থেকে লালবাতি খুলে ফেলা হয়। সেই গাড়িই এখন রাইস মিলে।
তবে এখানেই রহস্যের শেষ নয়। অপর একটি কালো গাড়ির নম্বর প্লেটের নীচে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার লেখা স্টিকার। কিন্তু চালকলে রাখা গাড়িতে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার লেখা স্টিকার?
তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি গাড়িও অনুব্রতর নামে নয়। একাধিক জনের নামে রয়েছে এই গাড়ি। ঠিকাদার, ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে, গাঁজার কেস দেওয়ার হুমকি দিয়ে, টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিনি গাড়িগুলি হস্তগত করেছিলেন বলে অভিযোগ। দামী ফোর্ড গাড়িও রয়েছে ওই গ্যারাজে। কিন্তু কেন এই গাড়িগুলিকে এখানে লুকিয়ে রাখা হল?
সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই গাড়িগুলিকে দ্রুত রাইস মিলে নিয়ে আসা হয়। তারপর থেকে আর এগুলি ওখান থেকে বের করা হয়নি। একাধিক মোটর বাইকও রয়েছে রাইসমিলের গ্যারাজে। রাইসমিলের সামনে রয়েছে একাধিক ট্রাক। সেগুলিও বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।