গোটা দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূল ঝড়ের মধ্যে একমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরে হেরে ভূত হয়েছে শাসকদল। তার পরও সেখানে থামছে না তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এবার ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নালিশ করলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি।
আরও পড়ুন - ‘লোডশেডিংয়ের সঙ্গে মালদার ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই’, জবাব দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী
পড়তে থাকুন - মালদার মানিকচকে গুলি চালিয়েছে পুলিশ, মেনে নিলেন পুলিশ সুপার, বিদ্যুৎ চেয়ে বুলেট!
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরে যুব তৃণমূলের উদ্যোগে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির নেতৃত্বে ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। ঠিক একই জায়গায় শুক্রবার সভা করবেন পটাশপুরের বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযুশ কান্তি পন্ডা। জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি অভিযোগ করেন, আগামিকাল যুব তৃণমূলের যে সভা সেটা তাঁকে জানানো হয়নি। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে উত্তম বারিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে।
কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর কাছে হেরেছিলেন। উত্তম বারিক অভিযোগ করেছিলেন দলের লোকেরা চক্রান্ত করেই তাঁকে তাকে হারিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকালে ২১ শে জুলাইর প্রস্তুতি সভা থেকে নাম না করে উত্তম বারিককে আক্রমণ করেন কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর পুত্র জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। মন্ত্রী বলেন, জেলার অনেক বড় বড় নেতা পদ নিয়ে বসে আছে। আমার কলমের গুঁতোয় সেই পদ চলে যাবে। কিছু টাওয়ার ব্যবসায়ীকে নির্বাচনের এজেন্ট করা হয়েছিল। তাঁরা রাতের অন্ধকারে বিজেপির কাছ থেকে টাকা খেয়ে তৃণমূলকে হারিয়েছে। উত্তম বারিক সেই মোবাইলের টাওয়ার ব্যবসার সাথে যুক্ত। তাহলে কি তাঁকে ইঙ্গিত করেই এই মন্তব্য!
সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ২১শে বিধানসভা নির্বাচনে যারা মমতা ব্যানার্জিকে হারানোর চক্রান্ত করেছিল আগামিকালের সভায় তারাই সামনে থাকবেন।
আরও পড়ুন - ‘বেনানা রিপাবলিক হয়ে উঠতে পারে না’, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্যপাল
পালটা উত্তম বারিক বলেন, মন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে বলেননি। হয়তো জেলার অনেক প্রভাবশালী নেতা রয়েছে। কে জেলা সভাপতি হবে, কে মহিলা সভানেত্রী সেটা দল ঠিক করবে। দল আমাকে যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে আমি নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। যার যা অভিযোগ এসব প্রশ্নের উত্তর দলের রাজ্য সভাপতি বলতে পারবেন।
বলে রাখি, লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভা ভিত্তিক ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।