ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মধ্য়ে পড়ে গিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিভিন্ন মহলে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছেও গিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তারপরেও বুঝতে পারছেন না শেষ পর্যন্ত তাঁদের চাকরির ভবিষ্যৎ ঠিক কী হবে?
রবিবার প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে যান চাকরিহারা শিক্ষকরা।
সেখানে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এদিকে কোন পথে তাঁদের চাকরি ফেরত আসবে তা নিয়ে তাঁদের মধ্য়ে আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পরে কার্যত বড় আপডেট মিলল এবার।
চাকরিহারাদের তরফে জানানো হয়েছে, 'সব রাজনৈতিক দলের অফিসে গিয়েছি। আমরা পথ খুঁজছি কীভাবে এই অবস্থা থেকে সব যোগ্যদের চাকরি বাঁচানো যায়। আমরা গতকাল আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কাছে গিয়েছিলাম। আজ এসেছি প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি স্যারের বাড়িতে। দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়তে পারি কি না, কীভাবে চাকরি বাঁচানো যাবে এটা নিয়ে স্যারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সব বিষয়ে বলার প্রয়োজন নেই। তবে কারা দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে চাকরি নিল আর কারা নিল না, ওএমআর-এর মিরর ইমেজের কপি সেটা পাবলিক ডোমেনে প্রকাশ করার দাবিতে রাস্তার লড়াইতে অনশনকারীদের পক্ষে আমরা লড়ছি, লড়ব, বুক চিতিয়ে। সুপ্রিম কোর্টেও লড়ব। আগামী কালের মধ্য়েই আমরা মামলা ফাইল করার চেষ্টা করছি যে ওএমআর-এর মিরর ইমেজের কপি..., আর রাজ্য সরকার একটা বিশেষ কথা হচ্ছে কি সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে, রাঙ্ক জাম্প আরও অনেক প্যারামিটার রয়েছে, অযোগ্য মানে তো অযোগ্য, সুপ্রিম কোর্ট বলছে মাস্ট বি টারমিনেট…তাদের টারমিনেট না করে ভোটের আগে পরীক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা তোলার ব্যবস্থা করেছে আমরা রুখে দেব। '
তিনি আরও বলেন, ‘যোগ্য চাকরিহারাদের কাছে আবেদন আমরা রুখে দেব। সবটা বলার দরকার নেই। কোর্টে দেখা হবে। যোগ্যদের চাকরি বাঁচাতে হবে। রাজ্য সরকারকে বলছি এই যে ষড়যন্ত্র করছেন কারা দুর্নীতির সুবিধা পেয়ে চাকরিটা নিল, আপনারা বিক্রি করলেন আর কারা দুর্নীতিই করল না সেই তালিকা নিয়ে আপনারা যান। লড়াই বাঁধবে, সংঘাত বাঁধবে আমরা প্রস্তুত।’
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, ‘ওরা ভবিষ্যতের দিশা পেতে চাইছেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন। এখন যা অবস্থা সবটাই সুপ্রিম কোর্টের হাতে। সুপ্রিম কোর্ট শুনবে কি শুনবে না সেটা সুপ্রিম কোর্ট ঠিক করবে। আমি কিছু বলব না। সুপ্রিম কোর্ট যদি মনে করে রিভিউ করবে সেটা করতে পারে নাও করতে পারে। সরকার তো কমিটির দিকে গেলই না। সরকার তো শিক্ষকদের লাথি লাঠি মারল। …আশায় বুক বেঁধে থাকা…’