প্রাণভয়ে আতঙ্কে মুর্শিদাবাদের বাড়ি ছেড়ে রাতারাতি চলে গিয়েছিলেন মালদায়। এরপর মালদার একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। সেই ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা। এদিকে পুলিশ ধাপে ধাপে সেই ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরান♏োর চেষ্টা করছিল। এবার একেবারে দল বেঁধে পুলিশ পাহারায় মালদায় চলে যাওয়া ঘরছাড়াদের নৌকা করে ফেরানো হল মুর্শিদাবাদের নিজেদের গ্রামে।
রবিবার পুলিশের পদস্থ কর্তারা গিয়ে💮ছিলেন এ👍কেবারে নদীর ঘাটে।
এসপি জঙ্গিপুর আনন্দ রায় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, যাঁরা ফিরছেন তাঁদের জন্য় আমরা এসেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি একেবারে শান্তিপূর্ণ। আমরা প্রথমদিন থেকে গ্রেফতার করছি। খুনের ঘটনায় একজনকে ও হিংসার ঘটনায় অপর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা ১৫৩টি কেস করেছি। ২৯২জনকে গ্রেফতার কর✤েছি। জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
একে একে ঘরছাড়াদের এদিন ফেরানো হয় মুর্শিদাবাদে। তাঁদের জন্য সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেকারণে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থাও রয়েছে। পুলিশ ছিল এদিন অতি মাত্রায় 💝তৎপর। তাদের যাতে সমস্যা না হয় সেকারণে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে একেবারে সাজো সাজো রব। তবে অনেকেরই প্রশ্ন এককাপড়ে যেদিন তারা ঘর ছেড়েছিলেন তখন কোথায় ছিল পুলিশ?
কার্যত মুর্শিদাবাদের ঘটনার জেরে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পা ফেলছে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্য়েই জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ🔯ে। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল।
তবে এবার দ্রুত ꦚঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর উ♔দ্যোগ নিচ্ছে পুলিশ, প্রশাসন।
তবে এসবের মধ্য়ে ফের শান্তির বার্তা দিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি তাঁর বার্তায় জানিয়েছেন, 'আমি আগে আরএসএস-র নাম নিইনি, তবে এবার বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছি যে, রাজ্যে যে কুশ্রী মিথ্যা প্রচার চলছে, তার মূলে তারাও আছে।' 'প্ররোচনার সূত্রে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতটিকে এরা ব্যবহার করছে। ব্যবহার ꦗকরছে বিভেদের রাজনীতি করার জন্য। এরা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’-এর খেলা খেলতে চায়। এ খেলা বিপজ্জনক।'
তিনি আরও লেখেন, আমরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নিন্দা করি এবং তাদের রুখবই। দাঙ্গার পিছনে আছে যে দুর্বৃত্তরা, তাদের কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে। কিন্তু, সেইসঙ্গেই, পারস্পরিক অবিশ্বাসের🔯 বাতাবরণও আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, পরস্পরের ব্যাপারে সহমর্মী ও যত্নশীল হতে হবে।' তাঁর বার্তা,' আমরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নিন্দা করি এবং তাদের রুখবই। দাঙ্গার পিছনে আছে যে দুর্বৃত্তরা, তাদের কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে। কিন্তু, সেইসঙ্গেই, পারস্পরিক অবিশ্বাসের বাতাবরণও আমাদের এড়িয়🔯ে চলতে হবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, পরস্পরের ব্যাপারে সহমর্মী ও যত্নশীল হতে হবে।'