পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে আয়োজিত সভা থেকে তিনি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা ৩৫ শতাংশ। এমনকী কয়েক বছরের মধ্যে মুসলিমরা পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনি।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা হিন্দুদের সরকার তৈরি হয়েছে। তারা শুধু ওখানে হিন্দু নিধন ও ৬০০ হিন্দু মন্দির ভেঙেছে তাই নয়, তারা হিন্দুদের অস্তিত্ব বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলতে চায়। আপনারা ৫১ সালের জনগণনার তথ্য তুলনা করলে বুঝতে পারবেন, কী ভাবে আমাদের দেশে ও আমাদের রাজ্যে জনবিন্যাস বদল করা হচ্ছে। দেশ ভাগের সময় পূর্ব পাকিস্তানে ৩৩ শতাংশ হিন্দু ছিল। ৭১ সালে বাংলাদেশ গঠনের সময় সেখানে ২২ শতাংশ হিন্দু ছিল। আজকে সেই সংখ্যা কমে রয়েছে ৭.৫ শতাংশ।'
তিনি বলেন, 'আমেরিকা যে ভাবে লাদেনকে খতম করেছে। ইজ়রায়েল যে ভাবে ভিতরে ঢুকে হামাসের প্রধানকে খতম করে দিয়েছে। ঠিক একই ভাবে এই জঙ্গিগুলোকে, এই অর্বাচিন সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিশ্বসমুদায় এগিয়ে আসবে এই আবেদন করব।’
এর পরই রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে ফিরহাদের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে জনাব ফিরহাদ হাকিম বললেন, ভারতে আমরা ১৭ শতাংশ, আর পশ্চিমবঙ্গে ৩৩ শতাংশ। জানলেন কী করে ৩৩ শতাংশ? ২০১১ সালে শেষ জনগণনা হয়েছে। সেই জনগণনা অনুসারে বাংলায় মুসলিম ২৭ শতাংশ। আর উনি বলছেন ৩৩ শতাংশ। হ্যাঁ, আমরাও চোখে দেখতে পাচ্ছি। ৩৩ কেন ৩৫ শতাংশ ওরা হয়ে গেছে। তিনি বলছেন, এত জনসংখ্যা বাড়াও যাতে এই রাজ্যেও আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হই। আর ভারতেও আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হই।’
এর পরই শুভেন্দু অধিকারী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘তাহলে কী হবে বন্ধু? তখন সম্প্রীতি, ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে? থাকবে না। তখন শরিয়া আইন চলবে। মুসলিম পার্সোন্যাল ল বোর্ড চলবে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার ভাইপোকে লাথি মেরে সরিয়ে এই ফিরহাদ, সিদ্দিকুল্লাহ, জাভেদ, হুমায়ুঁরা বলবে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হবে। তোমরা যাও ভাগো।’