রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (সেইল) কাঁচামাল বিভাগের দফতর কলকাতা থেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলে এখানকার বহু কর্মচারী কাজ হারাবার আশঙ্কা করছেন। এই পরিস্থিতিতে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তারপরেই পদক্ষেপ করা হল। বুধবার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়বে কর্মচারীরা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।জানা গিয়েছে, সেইল–এর কাঁচামাল বিভাগ বা আরএমডি-তে স্থায়ী কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫০। অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যাও অনেক। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সেই কর্মীদের পরিবারকে মারাত্মক চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। এমনকী এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে চরম সংকট দেখা দেবে বলে উল্লেখ করেছেন অমিত মিত্র। চরম সমস্যার মধ্যে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের দুই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা দুর্গাপুর ষ্টিল প্লান্ট এবং ইসকো। তাই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন তিনি।চিঠিতে কী লিখেছেন অর্থমন্ত্রী? রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চিঠিতে আবেদন করেছেন, ‘সেইল যেন নিজের দফতর কলকাতা থেকে না সরিয়ে নেয়। কারণ এই পরিস্থিতি হলে প্রত্যক্ষভাবে বহু কর্মী কাজ হারাবেন। দফতর বন্ধ হলে বিপর্যস্ত হবেন কর্মীরা।’ এই চিঠির প্রতিক্রিয়া আসে কিনা সেটাই এখন দেখার। তবে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে পরিস্থিতি যদি ঘোরালো হয় তাহলে কর্মচারীরা ব্যাপক আন্দোলনে নামবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।