একদিকে যখন ভারত-পাক সীমান্তে উত্তে𒁃জনা চরমে উঠেছে, দুই-দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে গোলা-বারুদের লড়াই, সেই আবহ♎েই পশ্চিমবঙ্গের দু'টি জায়গায় অভিযানে নেমে বড়সড় সাফল্য পেল বেঙ্গল এসটিএফ। দু'টি ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ছ'জনকে। ধৃতদের মধ্যে দু'জন বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁদের পাকড়াও করা হয় বীরভূম থেকে। বাকি চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয় কলকাতা লাগোয়া দমদম বিমানবন্দরের একেবারে নাকের ডগায়!
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে আসা খবরের ভিত্তিতে গতকাল (বৃহস্পতিবার - ৮ মে, ২০২৫) রাতে দমদম বিমানবন্দর▨ সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় এসটিএফ। সেই সময়েই একটি গাড়ি থেকে তিনটি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় চার দুষ্কৃতীকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন - চিনার পার্কের বাসিন্দ লিঙ্কন🌜 হোসেন, মাটিয়ার বাসিন্দা বাকিবিল্লা গাজি, আটঘরার বাসিন্দা ফারুক সর্দার এবং মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা রাজীব মোল্লা। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই স্থানীয় নারায়ণপুর থানায় অস্ত্র আ🌳ইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
ধৃতদের কাছে থেকে পাওয়া গিয়েছে, একটি ৭ এমএম সেমি অটোমেটিক পিস্তল, দু'টি ওয়ান শটার পাইপগান, ১২ রাউন্ড ৭.৬৫꧃ এমএম কার্তুজ এবং ২ রাউন𒅌্ড ৮ এমএম কার্তুজ। কী উদ্দেশ্যে এবং কোথায় তাঁরা অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, গতকাল (বৃহস্পতিবার - ৮ মে, ২০২৫) গভীর রাতে স্থানীয় থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়েꦐ বীরভূমের নলহাটিতে অভিযান চালায় এসটিএফ। পাকড়াও করা হয় দুই যুবককে। তাঁদের মধ্যে - সাহেব আলি খান পেশায় দরজি। ২৮ বছরের এই যুবক পাইকর থানা এলাকার র𝔍ুদ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা।
ধৃত অপরজনের নাম - আজমল হোসেন। তাঁর বয়সও ২৮ বছর এবং তিনি একজন হাতুড়ে ডাক্তার! বাড়ি নল🌃হাটির চণ্ডীপুর গ্রামে। এই আজমলের বাড়ি থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বই, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল-সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই দু'জনই জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র সক্রিয় সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে।