আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার নতুন করে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে নির্যাতিতার বাবার করা মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ করলেন না বিচারপতি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, এই মামলা বর্তমানে উচ্চতর ২টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ফলে একক বেঞ্চ তাতে হস্তক্ষেপ করলে বিচারবিভাগীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ হবে।
আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সন্দীপ ঘোষ জামিন পাওয়ার পরেই সিবিআই তদন্তে নানা প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার বাবা মা। তদন্ত সংক্রান্ত ৪২টি প্রশ্নের উত্তর দাবি করে আদালতের নিয়ন্ত্রণাধীন তদন্ত দাবি করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় নতুন করে সিবিআই তদন্ত করাতে হবে।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, এই মামলাটি বর্তমানে ২টি উচ্চতর আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলাটি শুনছে। তাদের পর্যবেক্ষণে তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় নতুন করে সিবিআই তদন্তের আবেদন নিয়ে নিম্নতর আদালতে শুনানি হলে তা বিচাবিভাগীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করা হবে। সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি সম্ভব কি না সেব্যাপারে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির মত জানা প্রয়োজন। এব্যাপারেক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের অনুমতি নিতে মামলারীর আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ১৫ জানুয়ারি ফের মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আইনজ্ঞদের মতে, কোনও তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়ার এক্তিয়ার নেই দেশের কোনও আদালতের। তদন্ত করতে হবে স্বীকৃত তদন্তকারী সংস্থাকেই। তদন্ত নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করতে পারে আদালত। যা ইতিমধ্যেই করছে তারা। ফলে আদালতের নেতৃত্বে যে তদন্তের দাবি নির্যাতিতার বাবা - মা করেছেন তাতে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয় হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে।