৫ তলার ওই বহুতলটি অবৈধভাবে নির্মাণ হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের একটি মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট ওই বহুতলে জল এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। তারপর মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকাল এই সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পুরসভাকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আজ সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিধাননগরে একটি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে স্থানীয়রা বাধা দেওয়ায় হাইকোর্ট বিধাননগর পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চামেলি নস্করকে মণ্ডলকে বিকেল ৫ টার মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পুলিশকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কাউন্সিলরের আইনজীবীর দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করা যাচ্ছে না। কারণ স্থানীয়রা তাঁদের কাজে বাধা দিচ্ছে। তারপরেই ফের শুরু হয় শুনানি। বিধাননগরের ওই অবৈধ নির্মাণ পুরসভাকে সোমবার দুপুর ১টা থেকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
পাঁচতলার ওই বহুতলটি অবৈধভাবে নির্মাণ হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের একটি মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট ওই বহুতলে জল এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। তারপর মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকাল এই সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পুরসভাকে জমা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেক্টর ফাইভ এলাকার শান্তিনগরে অবস্থিত এই বহুতলকে ঘিরে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঞ্চিবালা পোল্লে নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি প্রথমে পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই কারণে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।