হাওড়া ব্রিজ থেকে শুরু করে হাওড়া স্টেশন—দুটোরই একটা ঐতিহাসিক মূল্য আছে। এই ভারতীয় রেলের হাওড়া ডিভিশনের এবার শতবর্ষ পালন হবে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই ইতিহাস থেকে সাম্প্রতিক নানা স𓆉্মৃতি ধরে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে সকলেই খুব আনন্দিত। আর তিনদিনের মাথায় এই শতবর্ষ নিয়ে বড় অনুষ্ঠান হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। এম𒊎নকী এই অনুষ্ঠান এবং উদ্যোগ নিয়ে বড় অঙ্কের টাকা খরচ হতে চলেছে।
এদিকে ভারতীয় রেলের হাওড়া ডিভিশনের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ হতে চলেছে। তার সঙ্গে প্রকাশ হতে চলেছে চিঠির খামও। যা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর বলে জানা গিয়েছে। সেখানে পুরনে𒁃া কয়লার ইঞ্জিন থেকে শুরু করে আধুনিক বন্দে ভারতের ছবি থাকবে। এই বিশেষ ডাকটিকিট একবার মাত্র ছাপা হবে। ওই ডাকটিকিটে হিন্দি এবং ইংরেজিতে লেখা ‘গৌরবময় হাওড়া ডিভিশন🎃ের ১০০ বছর, ইস্টার্ন রেলওয়ে।’ এক হাজার এই ডাকটিকিট ছাপতে ব্যয় হচ্ছে, ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। এই উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। আগামী ২৩ মে ওই ডাকটিকিট এবং খাম প্রকাশ হবে। ওই অনুষ্ঠানে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ সফরের আজ দ্বিতীয় দিন মুখ্যমন্ত্রীর, জলপাইগুড়িতে কী কর্মসূচি রয়েছে?
অন্যদিকে হাওড়া ডিভিশনের একটা ইতিহাস আছে। এখান থেকে প্রথম কয়লা ইঞ্জিনের প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলেছিল ১৮৫৪ সালের ১৫ অগস্ট। আর রেলের ‘হাওড়া ডিভিশন’ তৈরি হয় অনেক পরে। ১৯২৫ সালের ১ জানুয়ারি। তখন ব্রিটিশ আমল। তখন ইস্টার্ন রেলওয়ে হাওড়া ডিভিশন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাই ২০২৫ সালকে হাওড়া ডিভিশনের শতবর্ষ হিসেবে স্মরণীয় করে রাখা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাওড়া স্টেশন মিলিটারি ট্রানꦉ্সপোর্টে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। যা এখন অনেকেই বিস্মৃতি হয়েছেন। নতুন প্রজন্মের অনেকেরই অজানা।
তাছাড়া এই বিশেষ ডাকটিকিট এবং খাম আগেই প্রকাশ্যে নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনার পর সেই দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। সেটাই এবার ২৩ মে করা হবে বলে রেল সূত্রে খবর। ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়র চালর্স স্টুয়ার্ট তৈরি করেন এই লালবাড়ির হাওড়া স্টেশন। আজ হেরিটেজ এই বিল্ডিং। কবিগুরܫু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরꩲ শেষ রেলযাত্রার সাক্ষীও এই হাওড়া স্টেশন। এই হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়ি আজও নানা সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।