বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে উঠে–পড়ে লেগেছে কলকাতা পুরসভা। এমনকী নানা কঠোর পদক্ষেপ পর্যন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও বেআইনি নির্মাণ নিয়েই বিস্তর অভিযোগ𒐪 শুনতে হচ্ছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। যা নিয়ে যথেষ্ট বিব্রত তিনি। এমনকী ঘনিষ্ঠমহলে সে কথা তিনি বলেছেনও। এই সমস্যার সমাধান কিছুতেই করা যাচ্ছে না। যার জন্য ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে তাঁকে এই নিয়ে নালিশ করছেন অনেক পুরবাসী। আর তাতেই তিনি অপমানিত বোধ করছেন। কারণ কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে🦩 পদক্ষেপ করছেন তিনি। তারপরও কারও কাজে গাফিলতি থাকার জন্য কথা শুনতে হচ্ছে তাঁকে।
এদিকে নাগরিক পরিষেবা আরও বেশি করে দেওয়া এবং মানুষের পুর–সমস্যার সমাধান করার জন্যই চালু হয়েছিল টক টু মেয়র অনুষ্ঠান। আর এখন সেই টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে ফোন করে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বিস্তর নালিশ করছেন কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত বাসিন্দারা। আর এত পদক্ষেপের পরও উল্টো প্রতিফলনই দেখা যাচ্ছে। আর তাই প্রতি সপ্তাহেই ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফোন করে করা হচ্ছে বিস্তর নালিশ। এই ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটছে না কোনও সপ্তাহেই। যা শুনে এবার ক্ষুব্ধ মেয়র বলেন, ‘প্রত্যেকদিন বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ শুনতে হচ্ছে। এটা আমার কাছে অত🦹্যন্ত অপমানজনক।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত এক বাসিন্দা টক টু মেয়রে ফোন করে অভিযোগ করেন, ক্যানিং স্ট্রিটে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। অথচ পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না। এই অভিযোগ শুনে পুরসভার কমিশনার এবং বিল্ডিং বি🐟ভাগের ডিজি’কে ভর্ৎসনা করেন মেয়র বলে খবর। তাঁদের উদ্দেশে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বেআইনি বাড়ি তৈরির খবর দেওয়াটা মানুষের কাজ নয়। তাঁরা অভিযোগ জানানোর পরে আমরা সেখানে গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তা হলে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের রেখে লাভ কী? এমনটা হতে থাকলে আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করি। তাহলে সেখানে নাগরিকেরা বেআইনি নির্মাণের খবর দেবেন!’
আরও পড়ুন: ♐রাতে ট্রেনে ক⛦রে এবার দিঘা যাওয়া যাবে, ভোরের আলো ফুটতে সমুদ্রসৈকতের দেখা
আর কী জানা যাচ্ছে? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বেআইꩵনি নির্মাণের খবর বেশ কিছু দিন ধরে আসছিল। তার জন্য টিম তৈরি করে অ্যাকশন নিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের দায়িত্বে মেয়র নিজে রয়েছেন। সুতরাং অভিযোগ উঠলে তিনি তা এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাই বিল্ডিং দফতর কি কাজ করছে না? না কি মেয়রের কথা শুনছে না? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বেআইনি নির্মাণ করতে চার থেকে ছ’মাস সময় লাগে। প্রতষেকটি ওয়ার্ডে নজরদারির দায়িত্ব রয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা। হয় তাঁরা এলাকায় ঘুরছেন না বা তাঁরা অপদার্থ।’’