মঙ্গলবার বাঘা যতীনের চিত্তরঞ্জন কলোনিতে একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যান পুরসভার ডেমোলিশন স্কোয়াডের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল যাদবপুর থানার পুলিশ। মূলত অভিযোগ, ওই নির্মাণটি দুতলা করার প্ল্যান থাকলেও তা বাড়িয়ে তিনতলা করা হয়েছে। সেই অংশ ভেঙে ফেলার জন্য সেখানে উপস্থিত হন পুরসভার কর্মীরা।
কলকাতা পুরসভার কর্মীদের বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বাধা।
শহরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বহুবার সরব হয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বেআইনি নির্মাণ বন্ধে কলকাতা পুরসভার তরফে একাধিক নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মেয়র। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ নির্মাণ অব্যহত রয়েছে। আর এবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। বাঘাযতীনে পুরসভার কর্মী এবং পুলিশ একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সীমা ঘোষের বাধার মুখে পড়েন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাঘাযতীনের চিত্তরঞ্জন কলোনিতে একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে যান পুরসভার ডেমোলিশন স্কোয়াডের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল যাদবপুর থানার পুলিশ। মূলত অভিযোগ, ওই নির্মাণটি দুতলা করার প্ল্যান থাকলেও তা বাড়িয়ে তিনতলা করা হয়েছে। সেই অংশ ভেঙে ফেলার জন্য সেখানে উপস্থিত হন পুরসভার কর্মীরা। এদিকে, বাড়ি ভাঙার খবর পেয়ে দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন কাউন্সিলর সীমা ঘোষ। তিনি পুলিশের উপস্থিতিতেই পুরসভার কর্মীদের কাজ বন্ধ করতে বলেন। কাউন্সিলরের বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত কাজ বন্ধ করতে বাধ্য কর্মীদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রোমোটার এখন বাইরে ঘুরতে গিয়েছে। তাঁকে আড়াল করার জন্যই কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেন। যদিও কাউন্সিলরের দাবি, এই নির্মাণের দায়িত্বে কোন প্রোমোটার নেই। যার জায়গা তিনি নিজেই সেখানে বাড়ি বানাচ্ছেন। তিনি একজন মধ্যবিত্ত। এর সঙ্গে প্রোমোটারির কোনও যোগ নেই। তিনি এনিয়ে বিল্ডিং বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানান।