সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা করে কাজের পরামর্শ দিয়েছেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মুর্তি। ৩০ বছরের কম বয়স যাদের তাদেরই এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবার নারায়ণ মূর্তির সমর্থনে মুখ খুললেন ইনফোসিসেরই এক প্রাক্তন কর্তা। ইনফোসিসের প্রাক্তন সিএফও (চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার) মোহনদাস পাই বলেন, ভারতীয়রা সপ্তাহে প্রায় ৬২ ঘন্টা কাজ করে। সারা দেশের রাজ্যভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করেই এই সময়🦄ের কথা জানান তিনি।
(আরও পড়ুন: মুখের ব্যাকটেরিয়া সাফ করতে চিবোতে পারেন আখ! জা𒐪নুন আরও গুণাগুণ)
সম্প্রতি দেশের অগ্রগতির জন্য কমবয়সিদের কাজের উপর জোর দেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি। তাঁর কথায়, ৩০ বছরের কমবয়সিদের সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজ করা উℱচিত। তাঁর এই মন্তব্য সঙ্গে সঙ্গেই উস্কে দেয় নানা বিতর্ক। তবে ইনফোসিসের প্রাক্তন সিএফও মোহনদাস পাই সমর্থন জানিয়েছেন নারায়ণ মুর্তির কথাকেই। একই সঙ্গে কোন রাজ্যের শহর এলাকার পুরুষরা কত ঘন্টা কাজ করে, সেই তথ্যও বিশ্লেষণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন।
(আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় ৭০ শতাংশ মৃত্যু হয় একটাই কারণে! তথꦬ্য দিয়ে জানাল কে🥀ন্দ্র)
এই তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে দাদরা ও নগর হাভেলিতে সবচেয়ে বেশি ঘন্টা ধরে কাজ করে শহর এলাকার🦩 পুরুষরা। দেশের মধ্যে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পুরুষারা সপ্তাহে ৭৮.৬ ঘন্টা কাজ করে। অন্যদিকে নাগাল্যান্ড রয়েছে এই তালিকায় সবচেয়ে নিচে। সেখানে প্রতি সপ্তাহে ৪৬.৮ ঘন্টা কাজ করে শহর এলাকার পুরুষরা। তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান অবশ্য সন্তোষজনক। কারণ পশ্চিমবঙ্গের শহর এলাকার পুরুষরা ৬১.১ ঘন্টা কাজ করে। যা আদতে ভারতীয় গড়ের সমান। দেশের রাজধানীতে এই পরিসংখ্যানটা ছুঁয়েছে প্রতি সপ্তাহে ꧂৬২.৩ ঘন্টা। তবে দেশের সিলিকন ভ্যালির কর্মীদের কাজের সময় সেই নিরিখে কম। সেখানের কর্মীরা মাত্র ৬০.৯ ঘন্টা কাজ করেন প্রতি সপ্তাহে। ২০১৯ সালে ভারত সরকারের টাইম আস সমীক্ষার ভিত্তিতে এই তথ্য জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, মোহনদাস পাইয়ের পডকাস্টেই🌊 কাজের সময় নিয়ে মন্তব্য করেন নারায়ণ মুর্তি। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতের উৎপাদনশীলতা (প্রোডাক্টিভিটি) সবচেয়ে কম। তাই দেশের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হলে কাজের সময় বাড়াতে হবে।♏ তখনই প্রতি সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজের নিদান দেন তিনি। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন জার্মানি ও জাপানের কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এই দুই দেশের নাগরিকরা ঠিক এতক্ষণই সময় দেন কর্মক্ষেত্রে।