সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছরই রেকর্ড সংখ্যক নাগরিকের মৃত্যু হয় সারা দেশে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পিছনেই থাকে আলাদা আলাদা কারণ। তবে বেশিরভাগ মৃত্যুর পিছনেই নাকি একটাই কারণ রয়েছে। সম্প্রতি সে তথ্যই প্রকাশ্যে আনল কেন্দ্র। ২০২২ সালের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে দেখা গিয়েছে, ৭০ 𝔍শতাংশ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পিছনে একটি কারণই দায়ী। আর তা হল গাড়ির গতি। গতিই প্রাণ কাড়ছে দেশজুড়ে পথ দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষের। গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রাণ হারিয়েছে ১,৬৮,৪৯১ জন। অন্যদিকে আহতের সংখ্যা ৪.৪ লাখ জন। যা রীতিমতো রেকর্ড ছুঁয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ।
(আরও পড়ুন: নিরামিষাশীদের জন্য গোটা একটা দিন উদযাপন! কোܫন দেশে প্রথম💦 শুরু জানেন)
কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি দশজনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয় অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে। মৃত্যুর কারণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ট্রাফিক আইন মেনে ন🃏া চলা। ট্রাফিক আইন ভাঙার কারণে কমবেশি ৬৭ হাজার মৃত্যু হয়েছে। এই ট্রাফিক আইন ভাঙার মধ্যে রয়েছে ভুল লেন দিয়ে গাড়ি চালা🌠নোর মতো অপরাধও। এছাড়াও রয়েছে হেলমেট ও সেফটি বেল্ট না পরার মতো অপরাধগুলিও।
(আরও পড়ুন: হলুদ না, কালো হয়ে যাওয়া কলাই নꦗাকি সেরা! মহিলারাও এর থেকে পাবে♛ন বিশেষ উপকার)
সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রকের তরফে একটি বার্ষিক পরিসংখ্যান প্রকাশ হয়েছে এই তথ্যগুলি দিয়ে। তার মধ্যে রয়েছে দুই চাকার গাড়িচালকদের মৃত্যুর সংখ্যা। ৫০ হাজারেরও বেশি বাইক আরোহীদের মৃত্যু হয়েছে হেলমেট না পরার জন্য। অন্🌠যদিকে প্রায় এক লাখের বেশি বাইক আরোহী একই কারণে আহত হয়েছেন। একইভাবে সিট বেল্ট না পরার জন্য হতাহতের সংখ্যাও এসেছে প্রকাশ্যে। ১৬,৭১৫ জন মারা গিয়েছেন সিট বেল্ট না পরে গাড়ি চালানোয়। একই কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৪২,৩০০ জন। ♋;
প্রসঙ্গত, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর নিরিখে ভারত বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থ🦩ানে রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ১১ শতাংশ ভারতের বুকেই হয়। অথচ গাড়ির সংখ্যার নিরিখে ভারত অনেকটাই পিছিয়ে। সারা বিশ্বের মাত্র ২ শতাংশের কম গাড়ি ভারতের রাস্তায় চলে। এর মধ্যে মোটরচালিত গাড়ির পরিসংখ্যাই শুরু ধরা হয়েছে। অর্থাৎ ইলেক্ট্রিক চালিত গাড়িগুলি এই তালি🍨কায় নেই। অনিয়ন্ত্রিত গতির জেরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২০১৮ সালে ৬৪ শতাংশ ছিল। যা ২০২২ সালে ৭১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।