১জুন মাসের ২০ তারিখ থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। আর এই সিরিজ গৌতম গম্ভীরদের কাছে এক প্রকার অ্যাসিড টেস্ট। কারণ তিনি কোচিংয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল হতাশাজনক পারফরমেন্স করেছে এবং ০-৩ ফলে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলতে গিয়েও টিম ইন্ডিয়া পরপর ম্যাচ হেরে এগিয়ে থাকা সিরিজ ১-৩ ফলে হাতছাড়া করে। আর এই আবহেই ইংল্যান্ড সিরিজের আগে সিনিয়র ক্রিকেটাররা বড় সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা সরে দাঁড়ান টেস্ট ফরম্যাট থেকে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ছাড়াই ইংল্যান্ডে খেলতে যাচ্ছে ভারত। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরমেন্স করা সত্ত্বেও শ্রেয়স আইয়ারকে নেওয়া হয়নি টেস্ট দলে।
এই নিয়ে অজিত আগরকরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন শ্রেয়সকে আরও ভালো খেলতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটে। এই মূহূর্তে টেস্ট দলে শ্রেয়সের জায়গা নেই। আর তারপরই ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের কাছেও এই প্রশ্নটা করা হয়েছিল, যে শ্রেয়সকে কেন দলে রাখা হল না? এর উত্তরেই গম্ভীরকে বলতে শোনা যায়, তিনি নির্বাচক নন যে এর উত্তর দিতে পারবেন। অর্থাৎ এমন ভাব দেখিয়েছিলেন যেন দল গঠনের ক্ষেত্রে তাঁর কোনও হাত থাকে না, নির্বাচকরা নিজেদের মতো করে দল গড়েন। অর্থাৎ নিজের কাঁধ থেকে তিনি দায় ঠেলে দিয়েছিলেন আগরকরদের দিকে। আর সেটা দেখেই এবার প্রাক্তন ক্রিকেট অতুল ওয়াসান বেজায় বিরক্ত।
ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যারা জড়িত তাঁরা বারবারই দাবি করে এসেছেন এমনিতেই কোচরা দল নির্বাচনে বড় ভূমিকা নিয়ে থাকেন। আর গৌতম গম্ভীর তো এই বিষয়ের অন্যান্য অনেক কোচের থেকেই এগিয়ে। তাই গম্ভীরের যুক্তি পছন্দ হয়নি অতুল ওয়াসানের। তিনি বলছন, ‘কোচের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোচের ভূমিকা থাকে, আর তাঁর কথায় নির্বাচকরাও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে ’।
যদিও এরপর গম্ভীরের পক্ষে দাঁড়িয়েই অতুল বলছেন, ‘কিছু কিছু সময় অবশ্য থাকে, যখন কোচ ঠিক হোক বা ভুল, তাঁর পছন্দকেই মান্যতা দিতে হয়। গম্ভীর যখন কোচ, তখন এক্ষেত্রে তাঁর পছন্দকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ’। ১৪টা ম্যাচে শ্রেয়স আইয়ার ভারতের হয়ে ৮১১ রান করেছে, রয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের অভিষেক ম্যাচে শতরানও। এছাড়াও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৯২ রানের ইনিংসের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮৬ এবং ৮৭ রানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও খেলেছিলেন শ্রেয়স, তাই তাঁকে নেওয়ার জন্য এত চর্চা চলছে। শর্ট বলের ক্ষেত্রে শ্রেয়স একটু অপ্রস্তুত থাকার কারণেই তাঁকে ইংল্যান্ডে সম্ভবত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না, কারণ সেদেশে ডিউক বলের বাউন্স সবসময়ই একটু বেশি থাকে। ইংল্যান্ডে এর আগে শর্ট বল পরপর করেছিল ইংরেজ বোলাররা, তাতে শ্রেয়স সমস্যায় পড়েছিলেন। ওডিআইয়ের ক্ষেত্রে শ্রেয়স অনেক বেশি সতর্ক এবং স্বাচ্ছন্দবোধ করলেও টেস্টে শ্রেয়সের পারফরমেন্স যেহেতু খুব ভালোও নয়, তাই তাঁকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।