এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শংকর দলুই। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন শীতল কাপাট। ঘাটাল কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের কমল দলুই।মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলাকে দু’ভাগে ভাগ করে এই জেলা স্থাপিত হয়। এই জেলায় তিনটি মহকুমা রয়েছে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সদর ও ঘাটাল। ঘাটাল এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ১ এপ্রিল ঘাটালে ভোটগ্রহণ হবে।একদা বাম দুর্গ বলে পরিচিত ঘটাল কেন্দ্রটি। তবে বামেদের শক্ত ঘাঁটিতে ২০১১ সালে থাবা বসায় তৃণমূল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শংকর দলুই৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০৭,৬৮২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী চন্দ্রা দলুই৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৮,২০৩৷ তৃণমূল প্রার্থী শংকর দলুই তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী চন্দ্রা দলুইকে ১৯,৪৭৯ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।১৯৮৭, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে টানা ৫ বার সিপিআইএমের রতন পাখিরা ১৯৭ নম্বর ঘাটাল (তফসিলি জাতি) বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অয়ন দোলুইকে পরাজিত করেন তিনি। ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের গোপাল কারক, ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের রজনীকান্ত দোলুই, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের নিমাই বাগ ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের মধুসূদন দোলুইকে পরাজিত করেছিলেন রতন। ১৯৮২ সালে সিপিআইএমের গোপাল মণ্ডল কংগ্রেসের নিমাই বাগকে ওই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের গোপাল মণ্ডল জনতা পার্টির বানেশ্বর সাহাকে পরাজিত করেছিলেন।১৯৭২ সালে কংগ্রেসের হরিসাধন দোলুই ঘাটাল আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালে তিন বার সিপিআইএমের নন্দরানি দল এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে সিপিএমের নগেন দোলুই জয়ী হয়েছিলেন।১৯৫৭ এবং ১৯৫১ সালে ঘাটাল যৌথ আসন ছিল। ১৯৫৭ সালে কংগ্রেস হরেন্দ্রনাথ দোলুই ও লক্ষ্মীমানচন্দ্র সরকার উভয়ই যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন।