হিরো আলমের নামে বিয়ের প্রতিশ্রুতি সহ নায়িকা বানানো স্বপ্ন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। শুধু তাই নয়, উঠেছে গর্ভপাত করানোর অভিযোগও। অভিনেতা সহ আরও ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে এই ঘটনায় তাঁরাও যুক্ত।
কী ঘটেছে?
সূত্রের খবর গত রবিবার উত্তর জনপদ জেলার বগুড়া নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এ এক মহিলা এই মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মহম্মদ আনোয়ারুল হক এই মহিলাদের অভিযোগ গ্রহণ করেছেন, একই সঙ্গে নিয়েছেন তাঁর জবানবন্দি। শুধু তাই নয়, তিনি এই অভিযোগ তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
হিরো আলমের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং বগুড়া পুলিশ সুপারকে। তদন্তের পর রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
হিরো আলম সহ এই মহিলা আরও ৫ জনের নামে অভিযোগ করেছেন। এই ৫ জন হলেন হিরো আলমের মেয়ে আলো খাতুন, তাঁর দুই সহকারী আল আমিন, মালেক এবং মালেকের স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবিব।
এই অভিযোগে সেই মহিলা জানিয়েছেন হিরো আলম তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। শুধু তাই নয়, দিয়েছিলেন নায়িকা বানানোর আশ্বাস। বাড়ি ভাড়া করে নাকি তাঁরা একসঙ্গে থাকেন বেশ কিছু দিন, বলেন মৌলবী ডেকে বিয়ে করবেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই মহিলা গর্ভবতী হয়ে গেল তাঁকে গত ১৮ এপ্রিল বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চাপ দেওয়া হয় গর্ভপাত করানোর। তিনি গর্ভপাত না করতে চাইলে উক্ত বাকি ৪ জন এবং হিরো আলম তাঁকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন এই মহিলা। সেই মারধরের ফলে তাঁর রক্তক্ষরণ হয়। বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁর গর্ভপাত হয় বলে জানান সেই অভিযোগকারিণী। গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সেই হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
কেবল ধর্ষণ, গর্ভপাত বা নায়িকা বানানোর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি নয়, হিরো আলমের বিরুদ্ধে এই মহিলা ১৫ লাখ টাকা ধার নেওয়ার অভিযোগও এনেছেন। যদিও এই অভিযোগ স্বীকার করেননি হিরো আলম। তাঁর মতে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা মিথ্যে।