দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে মহম্মদ শামি ও হাসিন জাহানের বিচ্ছেদের মামলা। আদালতে স্বামীর নামে বধূ নির্যাতন-সহ একাধিক মামলা করে🌌ছেন হাসিন। সঙ্গে শামির দাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন হাসিন জাহান। কিছুদিন আগে মেয়ের সঙ্গে শপিং-এর ভিডিয়ো পোস্ট করে আবেগঘন হতে দেখা গিয়েছিল শামিকে। বরের সেই ভিডিয়োকে ‘লোক দেখানো’ বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি হাসিন।
মেয়ে আইরাকে নিয়ে হাসিন-শামির কাদা ছোঁড়াছুড়ির মাঝেই আইনি আপটেড দিলেন। পঞ꧒্চমীর দিন কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছে জানান হাসিন। যদিও কোন মামলায় হাসিনকে সহানুভূতি দেখিয়েছে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত, তা স্পষ্ট করেননি হাসিন।&♊nbsp;
২০১৮ সালে শামির বিরুদ্ধে ‘বধূ নির্যাতন’-সহ একাধিক অভিযোগ এনে যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন হাসিন। দুজনের বিচ্ছেদ ও খোরপোষের মামলা আলিপুর আদালতে বিচারাধীন। মহাষষ্ঠীর দিন সোশ্যাল মিডিয়া 🎉পোস্টে হাসিন আল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট আমার পক্ষে একটা রায় দিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমার এবং ℱআমার নাবালিকা মেয়ের বিরুদ্ধে শক্রুরা মিথ্যে মামলা করেছিল। সেই মামলা খারিজ করে মাননীয় বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় আমার প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার আইনজীবী,বড় দাদা ইমতিয়াজ আমমেদকে, যার সৎ প্রচেষ্টার জন্য আমার এই জয়’।
পোস্টের ক্যাপশনে হাসিন আরও লেখেন, 'আমার দুই আইনজীবীকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে কেসটা ২ বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখেছিল। শেষপর্যন্ত আমি আইনজ🐬ীবী ইমতিয়াজ আহমেদ ভাইকে আমার কেসটা সঁপে ছিলাম, আর আল্লাহমদুল্লিলা তিন মাসেই আমি ইনসাফ পেলাম। সত্যের জয় নিশ্চিত, সেটা ফের প্রমাণিত হল। শামি আহমেদের বিরুদ্ধে আমি যত মামলা করেছি, শুধুমাত্র তা ওর ভ্রষ্টাচারণের জন্য তা ঝুলে থেকেছে, ৪৯৮(এ) ধারায় যে মামলা চলছে তাতে দীর্ঘদিন পর কেসের তারিখ দেওয়া হচ্ছে অকারণে। আর খোরপোষের মামলায় আমার উকিলই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় মামলা দীর্ঘায়িত হয়েছে। এখন আমি আইনজীবী পালটেছি। আর এখন তো থার্ড জেএম কোর্টে দীর্ঘদিন বিচারকই নেই! ১৩৮ ধারাতেও আমি জলদি সুবিচার 🎐পাব, ইনশাআল্লাহ'।
গত বছর গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় আলিপুর আদলত হাসিনের পক্ষে রায় দিয়ে জানিয়েছিল, প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য করতে হবে শামিকে। এর পাশাপাশি মেয়ে𝔉র জন্য ৮০ হাজার টাকাদিতে হবে ভারতীয় তারকা পেসারকে। ২০১৮ সালে মামলা রুজু হয়, সুতরাং ওই বছর মার্চ মাস থেকে বকেয়া টাকা হাসিনকে মেটাতে হবে শামিকে। যদিও খোরপোশের এই অর্থতে খুশি ছিলেন না হাসিন। উচ্চ আদালতে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা বলেছিলেন শামির বিচ্ছিন্না স্ত্রী।