পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে তো চেনেন, ‘হিরো’ হিসাবে রাজ চক্রবর্তীকে কখনও দেখেছেন? নিশ্চয় নয়! যদিও রাজ কলকাতায় পা রেখেছিলেন অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই। থিয়েটার করতেন। অভিনেতা হিসাবে কাজও করেছেন অল্প বিস্তর। তবে পরিচালক হিসাবেই সাফল্য এসেছ🦄ে তাঁর ঝুলিতে। বর্তমানে টলিপাড়ার স্বনামধন্য পরিচাꦇলক-প্রযোজক তিনি।
তবে ১৮ মার্চ ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে পাওয়া গেল অন্য ൩রাজ চক্রবর্তী। মঞ্চে তখন ছিলেন অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন নায়কচিত কায়দায় বাইকে চড়ে এন্ট্রি হল রাজের। তারপর ক্যামেরার সামনে জমিয়ে পারফর্ম করলেন তিনি। নিজেরই সুপারহিট ছবি 'দুই পৃথিবী'র গানে পারফর্ম করতে দেখা গেল রাজকে। যে ছবিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল দেব ও জিৎকে। ফিল্মফেয়ারের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামে উঠে এসেছে সেই মুহূর্ত…।
রাজের এই নাচের ভিডিয়ো ঘিরে নেটিজেনদের কমেন্টের বন্যা বয়েছে। কেউ তাঁকে 'বাংলার সলমন খান' বলেছেন, কেউ আবার রাজের নাচের সময় মঞ্চে শিবপ্রসাদের হেঁটে যাওয়া নিয়ে সমালোচনা করেছেন। কেউ আবার সুন্দরী পূজার প্রশংসায় পঞ্চম♓ুখ।
আরও পড়ুন-🏅Filmfare-এর মঞ্চে শুভশ্রীর হাতꦏ থেকে পুরস্কার নিয়েই রাজঘরণীর পুরনো কথা ফাঁস করলেন মিমি
তবে রাজ একা নন, কম যান না শুভশ্রীও। 'মালা রে' গানে পারফর্ম করার মাঝে মঞ্চ থেকে নেমে এসে দর্শকাসনে বসা টলিপাড়ার সমস্ত নায়িকাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে নাচাতে দেখা যায় তাঁকে। শুভশ্রী সঙ্গে তখন নাচেন মিমি চক্রবর্তী, মনামী দাস, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ꦓজয় আহসান। সব শেষে শুভশ্রী হাত ধরে তুলে আনেন বনিকে। জমে উঠেছিল সেই মুহূর্ত….।
প্রসঙ্গত, ১৯ মার্চ ফিল্ম ফেয়ারে 'বাবলি' ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে ফিল্মফেয়ার মোস্ট স্টাইলিস্ট ডিরেক্টরের পুরস্কার পেয়েছেন রাজ চক্রবর্তী। এদিন পুরস্কার জেতার পরই দৌড়ে গিয়ে সঞ্চলকের আসনে থাকা স্বামী রাজ চক্রবর্তীকে জড়িয়ে ধরতে🦹 দেখা যায় শুভশ্রীকে। সৌহার্দ্য বিনিময় করেন অন্য দুই সঞ্চালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। এদিন বলিউড অভিনেতা রাজকুমার রাও-এর হাত থেকে পুরস্কার নেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ১৯ মার্চ ফিল্মফেয়ারে সেরার তালিকাটি খানিকটা এইরকম…। সেরা ছবি-বহুরূপী,সেরা পরিচালক-নন্দিতা রায় ও শিবোপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (বহুরূপী),সেরা ছবি (সমালোচকদের বিচারে') -চালচিত্র এখন (অঞ্জন দত্ত), মানিকবাবুর মেঘ (অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়),সেরা অভিনেতা- শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (বহুরূপী),সেরা অভিনেতা (সমালোচকদের বিচারে)- অঞ্জন দত্ত (চালচিত্র এখন), চন্দন সেন (মানিকবাবুর মেঘ),সেরা অভিনেত্রী -শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (বাবলি),সেরা অভিনেত্রী- (সমালোচকদের বিচারে') মমতা শঙ্কর (বিজয়ার পরে),সেরা সহ অভিনেতা- শাওন চক্রবর্তী (চালচিত্র এখন),শিলাজিৎ মজুমদার (আযোগ্য),সেরা সহ অভিনেত্রী-মনামী ঘোষ (পদাতিক), তনিকা বসু (চালচিত্র দ্য ফ্রেম ফ্যাটাল),সেরা সঙ্গীত অ্যালবাম-অনুপম রায়, বনি চক্রবর্তী, অর্ণব দত্ত, শিলাজিৎ মজুমদার, নানীচোরা দাস বাউল (বহুরূপী), সেরা গান-অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় (তোমার আমার গল্প হত যদি- মানিকবাবুর মেঘ),সেরা প্লেব্যাক গায়ক (পুরুষ)- ননী চোরা দাস বাউল ও বনি চক্রবর্তী (শিমুল পলাশ-বহুরূপী),সেরা প্লেব্যাক গায়ক (মহিলা)-শ্রেষ্ঠা দাস (ডাকাতিয়া বাঁশি- বহুরূপী), সেরা অরিজিনাল গল্প: অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় (মানিকবাবুর মেঘ),সেরা চিত্রনাট্য: সৃজিত মুখোপাধ্যায় (পদাতিক),সেরা সংলাপ-কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (অযোগ্য),সেরা সিনেমাটোগ্রাফি-অনুপ সিং (মানিকবাবুর মেঘ),সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন-তন্ময় চক্রবর্তী (পদাতিক),সেরা সম্পাদনা- সৃজিত মুখোপাধ্যায় (পদাতিক),সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর- নীল দত্ত (চলচিত্র এখন),সেরা সাউন্ড ডিজাইন- অভিজিৎ রায় (মানিকবাবুর মেঘ),সেরা পোশাক-জয়ন্তী সেন (বহুরূপী),সেরা মেকআপ-সোমনাথ কুন্ডু (পদাতিক),লাইফটাইম অ্যাচিভমেন🌟্ট অ্যাওয়ার্ড- বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়,সেরা নবাগত পরিচালক- শমিক রায়চৌধুরী (বেলাইন),সেরা নবাগত অভিনেতা- শুভঙ্কর মোহন্ত (মন পতঙ্গ),সেরা নবাগত অভিনেত্রী- বৈশাখী রায় (মন পতঙ্গ), ইধিকা পাল (খাদান))।