ফের একবার রানা সরক🍷ারের তোপের মুখে পড়লেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ফেসবুকে লম্বা পোস্টে আরও একবার নাম না করে পর্দার 'খোকা'কে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না রানা। সম্প্রতি Blackletters India নামে এক ইউটিউব শোতে কলকাতাকে নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন অভিনেতা-পরিচালক-নাট্যব্যক্তিত্ব অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সেখানে তাঁর বক্তব্যকে ঘিরেই তাঁকে আক্রমণ করেছেন টলিপাড়ার প্রযোজক। নিজের পোস্টে অনির্বাণের বিরুদ্ধে 'টুকলিবাজি'র মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন রানা।
ঠিক কী লিখেছেন রানা সরকার?
রানা নিজের ফেসবুক খানিকটা ‘Guess Who?’ টাইম পোস্টে লেখেন, ‘পাদ্দায়ি টুকে বাংলা ওয়েব সিরিজ বানাই। বাদল সরকার আর শেক্সপিয়ার টুকে সিনেমা বানাই। বাদল সরকারের লেখা নাটক নিজের লেখা চিত্রনাট্য বলে পুরস্কার নিতে আমার আপত্তি নেই। তারপর বলি সিনেমা থিয়েটারে কলকাতার নিজস্বতা নেই। কারণ আমার যেটা নিজস্ব সেই অভিনয় ছাড়া বাকি সব বিষয়ে আমি নাক গলাতে ভালোবাসি। অথবা আমার নিজস্ব বলে কিছু নেই , সবটাই Fail🙈ed Exercise. বলুন তো আমি কে?’
ফের খোঁচা দিয়ে 🎃লেখেন, ‘আবার জেগে উঠেছে নটচঞ্চু আল পাচিনো (গরীব)। সুপ্ত আগ্নেয়গিরি আবার লাভা উদগীরণ শুরু করেছে । Link কমেন্টে।’ আর এই লিঙ💫্কেই অনির্বাণের বক্তব্যের লিঙ্ক তুলে দিয়েছেন প্রযোজক। আর তাই তিনি যে পর্দার 'খোকা'কে আক্রমণ করেই কথাগুলি বলেছেন, সেবিষয়ে আর কোনও সন্দেহই নেই।
আরও পড়ুন-প্রতিদিন🦋 জ্যামিকে ফলো করছেন শঙ্কর, কে তিনি? কবে সামনে আসবে 'জাযা'র ঘট൩না!

রানার এই পোস্টের নিচে স্বভাবতই নꩵেটিজেনদের কমেন্টের বন্যা বয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘গুরু হতাশায় ভুগছে, এই🐻 বয়সের বাংলা আর্টিস্টদের ক্ষেত্রে common পরম, আবির, jissu চুটিয়ে অন্য ইন্ডাস্ট্রি কাঁপাচ্ছে এদিকে গুরু কিছু করতে পারছেনা তাই হতাশা।’ আরেকজন মুচকি হেসে লিখেছেন, 'দারুন বলেছেন....', এখানে আরও একজন আরজি কর ইস্যুতে অনির্বাণের চুপ থাকা নিয়ে খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, ‘R G Kar নিয়ে তার কোনো বক্তব্য ছিল না । অবাক লেগেছে ।’ এরই মাঝে কিছু লোকজন অনির্বাণের হয়ে ঢাল ধরারও চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু কী এমন বলেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য?
অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘কলকাতা একটা বিদূষক-এর মতো, একটা ভাঁড়…’। অনির্বাণ বলেন, ‘আমি বাইরে থেকে এসেছি, মেদিনীপুর শহর থেকে, কলকাতা থেকে খুব বেশি দূরে নয় সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে। আমি আজকে ভাবার চেষ্টা করছিলাম, কলকাতা মানে কী? এখানে একটা কথা বলব,,, বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিরেকে কিন্তু কলকাতাকে বুঝতে হবে। কলকাতা মানে কিন্তু শুধু প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নয়। এই দুটো বিশ্ববিদ্যালয় সহ কলকাতার নানান স্কুলের ইতিহাসে ঢুকে পড়লেই ইতিহাস টাকে খুব একপেশে, অসম্ভব ঝাঁ চকচকে একটা কলকাতা মনে হয়। কিন্তু কলকাতা তু মুটে মজদুরদেরও, শ্রমিক, কবি, মেথর, কা🌟বুলিওয়ালা, সবার।…. কলকাতা একটা দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনৈতিক চ্যালার মতো…, যে সবসময় একটা গ্র্যান্ড ন্যারেটিভকে ধুয়ো দিয়ে গিয়েছে, নিজে কখনও ন্যারেটিভ তৈরি করার চেষ্টা করেনি।’
অনির্বাণ বলেন, 'স্বাধীনতার পর থেকেই সমস্ত প্রান্তিক শিল্প চর্চায় কলকাতায় এসে জুটতে শুরু করে।… কলকাতায় অনেকগুলো ঠেক আছে। সেই কলেজস্ট্রিটটা একই আছে, ওই জায়গাটাও ভালো, ওই কেবিন আছে, ওই ফিসফ্রাইটা বেশ ভালো। ওই চা-টা যখন বাদলবাবু খেতেন এখনও তেমনই আছেꦕ…। তবে কলকাতা কখনও প্রান্তিক শিল্পচর্চার জায়গা হতে পারে না। কলকতায় কোনওদিনই কোনও সংঘ টেকেনি গণনাট্য সংঘ টেকেনি, বা অন্যকোনও সংঘও টেকেন.., একটাই টিকেছে যেটা সোনাগাছি। আর কোনওচর্চা টেকেনি। গণনাট্য, কমিউনিস্ট ইডিওলজি, গণসঙ্গীত টেকেনি। রবীন্দ্রনাথ নিজেও তাঁর স্থায়ী শিক্ষাচর্চার পরিকল্পনা কলকাতার বাইরে গিয়েই করেছেন।….কলকাতা বিদুষকের মতো, এখানে যে যখন রাজা হয়, তখন তাঁর হয়ে ভাঁড়ামি করে।'
অনির্বাণের কথায়, ‘এখানে যখন ব্রিটিশ থেকেছে, তখন এখানকার মানুষ বলেছে, বাবু আমি আপনাদের সঙ্গে ব্যবসা করব, আবার যখন কংগ্রেসে এসেছে, মহাত্মা গান্ধী এসেছেন, জওহরলাল নেহেরু এসেছেন, তখন তাঁদের মতো। আবার যখন জ্যোতি বসু এসেছেন, তখন সবাই কমিউনিস্ট, আবার মমতা ব্যানার্জি আসার পর সকলেই জাগো বাংলা পড়েন। শহরটার মধ্যে অ্যাডাপটিবিলিটি আছে অরিজিনালিটি নেই। অরিজিনাল বলতে ট্যাক্সি, ট্রাম, আর রসোগোল্লা। তারপর ট্রাম উঠে গেছে, ট্যাক্সিও যাবে, রসোগোল্♏লা থাকলে থাকবে…।’
নাটক সিনেমার ক্ষেত্রে অনির্বাণের বক্তব্য, এটাও আসলে অনুসারি, অরিজিনাল কোনও আখ্যান নেই, কীভাবেই বা তৈরি হবে? অর্থাৎ অনির্বাণ বলতে চেয়েছেন ‘কলকাতার কোনো নিজস্বতা নেই’। আর অভিনেতার এই বক্তব্য ধরেই নেটিজেনদের বিভিন্ন মন🌳্তব্য উঠে এসেছে। তেমনই তাঁকে খোঁজা নিয়ে ফেসবুকের পাতায় পোস্ট করেছেন রানা।