‘অল ইজ নট ওয়েল’- অভিনেত্রী তিয়াসা রায় অর্থাত্ ‘কৃষ্ণকলি’ শ্যামার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কেরিয়ার শুরুর আগেই অভিনেতা সুবান রায়ের সঙ্গে বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়েছিলেন তিয়াসা। বাংলা টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় নায়িকার সুখের সংসারে নাকি চিড় ধরেছে, এই ধারাবাহিকের অগাধ সাফল্যই নাকি দুজনের দাম্পত্যে তিক্ততা এনে দিয়েছে বলে গুঞ্জন। এই নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখেও পড়েছেন অভিনেত্রী। অবশেষে এই জল্পনা নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন পর্দার শ্যামা।সত্যি কি আলাদা হয়ে গিয়েছে সুবান-তিয়াসার পথ? সম্পর্কের তিক্ততা কি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ডিভোর্স পর্যন্ত গড়িয়েছে গোটা বিষয়? এক সাক্ষাত্কারে তিয়াসা জানিয়েছেন, ‘সম্পর্কের সমীকরণটা আগের থেকে পরিবর্তিত হয়েছে ঠিকই। কাজের সূত্রে আমরা আলাদাই থাকছি’। আলাদা থাকবার কথা মেনে নিলেও এখন বিষয়টা ডিভোর্সের পর্যায়ে পৌঁছায়নি। মনোমালিন্য হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখনও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আশাবাদী অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘সব সমস্যাই কি ডিভোর্স অবধি গড়াবে? তার কি খুব প্রয়োজনীয়তা আছে? দাম্পত্যে ঝগড়াঝাটি হবে, কথাকাটাকাটি হবে তা তো স্বাভাবিক। এই সব কিছুই নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর’। সুবানের হাত ধরেই টেলিভিশন দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন তিয়াসা। এককথায় তিয়াসার কেরিয়ারটা নিজের হাতেই গড়ে দিয়েছেন তিনি, সে বিষয় নিয়ে কৃতজ্ঞ অভিনেত্রী বললেন- ‘আমার জীবনে আমি সুবানের অবদান কোনও দিনও ভুলতে পারব না’। দু'জনের মনোমালিন্যের খবর দিন কয়েক আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকেও জানিয়েছিলেন সুবান। তিনি বলেন, ‘ঝগড়া-অশান্তি হতেই পারে, কিন্তু তাই বলে দুম করে ডিভোর্স হয়ে যাবে এটাতে আমি বিশ্বাসী নই। বিয়ের সম্পর্কটা খুব পবিত্র বলে আমি বিশ্বাস করি, এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেটা টিকিয়ে রাখবার চেষ্টা আমি করব। কিন্তু লোকজন যেভাবে আমাদের ডিভোর্স নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে তাতে লোকের মুখের কথা কোনওদিন ফলে না যায়। সেটা ঘটলে তো আর আলাদা করে কাউকে জানাতে হবে না, সকলে জানতেই পারবেন’। তিয়াসার প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা জানিয়ে সুবান যোগ করেন, ‘আমি অতীতেও সবসময় তিয়াসার ভালো চেয়ে এসেছি। ভবিষ্যতেও সেটাই চাইব’।এই টেলি দম্পতির প্রেমের শুরুটা গোবরডাঙায়, তাও অভিনয়ের সূত্র ধরেই। সুবানের বাড়ি গোবরডাঙায়, অন্যদিকে তিয়াসার মামারবাড়ি ওই শহরে। ছোট থেকে ওখানেই মানুষ হয়েছেন পর্দার ‘কৃষ্ণকলি’। মঞ্চে অভিনয়ের সূত্র ধরে বন্ধুত্ব, সেখান থেকে প্রেম এবং দুম করে বিয়ে! দূরে থাকার জেরে দূরত্ব কি ঘুচবে নাকি পরিস্থিতি চিরদিনের জন্য আলাদা করে দেবে সুবান-তিয়াসা-কে? উত্তরটা সময়ই দেবে।