'অঙ্কুর', 'ভূমিকা', 'মন্থন',এর মতো একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবির পরিচালক 'শ্যাম বেনেগাল'-আর নেই। ৯০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে যাত্রা করেছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সামদিশ ভাটিয়ার সঙ্গে কথোপকথনে হাজির হয়েছিলেন এই বিশিষ্ঠ পরিচালক। আর সেখানেই তিনি খোলসা করেন যে তাঁর সময়ে কꦿাকে দেখে তাঁর সবচেয়ে বেশি হিংসে হত।
ঠিক কী বলেন শ্যাম বেনেগাল?
পরিচালককে জিগ্গেস করা হয়েছিল যে এমন কেউ আছে যাঁকে দেখে তাঁর এখনও হিংসে হয়? উত্তরে পরিচালক বলেন, তাঁর বয়স যখন অনেক কম ছিল, তখন তাঁর এমন হিংসে হত। এরপর যখন শ্যাম বেনেগালকে জিগ্গেস করা হয় কোন পরিচালককে দেখে তিনি সবচেয়ে বেশি ঈর্ষান্বিত হন? উত্তরে শ্যাম বলেন,, 'ভারতে কেবল একজনই ছিলেন, তিনি সত্যজিৎ 💃রায়। আমি যাঁকে খুব শ্রদ্ধা করতাম, তিনিই হলেন সত্যজিৎ রায়। তারপরও দু-একজন রয়েছে, যেমন আর আমার কাজিন (তুতো ভাই) গুরু দত্ত।
কিন্তু গুরু দত্তকে কেন হিংসে করতেন শ্যাম বেনেগাল?
পরিচালক বলেন, ‘আমি কিন্তু এখানে ঈর্ষা করতাম বলতে বোঝাতে চাইছি আমি ওঁর একজন অন্যতম প্রশংসক। অর্থাৎ ওঁর সাফল্যের কারণেই আমি ওঁকে ঈর্ষা করতাম। হয়ত জানবেন না একজন পরিচালক হিসেবে। আমি ওর কাজের খুব সমালোচক ছিলাম। তবে আসল কথা হল, আমি ওঁকে ঈর্ষা করতাম। কারণ উ♈ই খুবই সফল ছিলেন যদিও ওঁর কাজে কিছু নান্দনিক ত্রুটিও ছিল। তবে ওঁর মন ছিল খুবই অস্থির। তবে তিনি সাফল্য় ছাড়াও বেশকিছু জিনিস তৈরি করেছেন। যেমন সাহেব এবং গুলাম-এর মতো কিছু দুর্দান্ত ছবি বানিয়েছেন। আবার তিনি ‘কাগজ কে ফুল’-এর মতো ছবিও বানিয়েছিলেন যা পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়েছিল।'
এখন প্রশ্ন সম্পর্কে গুরু দত্ত শ্যাম বেন🍸েগালের ঠ♔িক কেমন ভাই ছিলেন?
শ্যাম বেনেগালের ঠাকুমা এবং গুরু দত্তের দিদিমা ছি𝄹লেন দুই বোন। তাঁরা তাই তুতোই ভাইবোন ছিলেন।
সোমবার শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল বাবার মৃত্যুর খবর জানান। এদিকে অতি সম্প্রতি পরিচালক নিজের পরিব♎ার এবং ইন্ডাস্ট্রির ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে নিজের ৯০ তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। শ্যাম বেনেগালের 'অঙ্কুর'-ছবির মাধ্যমে ডেবিউ হয়েছিল শাবানা আজমির। শ্যাম বেনেগাল ভূমিকা: দ্য রোল (১৯৭৭), জুনুন (১৯৭৮), আরোহন (১৯৮২), নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: দ্য ফরগটেন হিরো (২০০৪), মন্থন (১৯৭৬), এবং ওয়েল ডান আব্বা (২০১০) সহ ছবি বানিয়ে একাধিক জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।