বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল ভারতীয় স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও অভিনেতা-কোরিওগ্রাফার ধনশ্রী বর্মার ডিভোর্সের খবর। তবে এবিষয়ে যুজবেন্দ্র ও ধনশ্রী চুপই ছিলেন। ২২ ফেব্রুয়ারি, শনিবার সেই খবরেই শেষপর্যন্ত সিলমোহর পড়ল। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে চাহালের আইনজীবী নীতিন কে গুপ্তা ডিভোর্সের খবর নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন, পারস্পরিক সম্মতিতেই বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন করা হয়েছিল। আর এই মামলাটি মুম্বাইয়ের বান্দ্রার আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
তবে চাহালের আইনজীবী জানিয়েছেন, বিষয়টি এখনও বিচারকের বিবেচনাধীন। আর তাই এবিষয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা অবৈধ। চাহাল এবং তাঁর পরিবারও তাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কোনও খবরের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। সবাইকে জল্পনা থেকে বিরত থাকতেও বলেছেন এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন-বিদায়! 'নিম ফুলের মধু' শেষ দিনের শ্যুটিং, সেট ছাড়তে গিয়ে মন খারাপ রুবেলের
যুজবেন্দ্র ও ধনশ্রী
২০২০ সালে বিয়ে করেছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও অভিনেতা-কোরিওগ্রাফার ধনশ্রী বর্মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছিল সেই জুটির বিয়ের একাধিক ছবি ও ভিডিয়ো। তাঁদের রসাসন মন কেড়েছিল অনুরাগীদেরও।
এর আগে, 'ঝলক দিখলা জা ১১' তে নিজেদের প্রেমের বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন ধনশ্রী। কোরিওগ্রাফার বলেছিলেন, ‘লকডাউনের সময় কোনও ম্যাচ হচ্ছিল না এবং সমস্ত ক্রিকেটাররা বাড়িতে বসে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় ইউজি একদিন সিদ্ধান্ত নেয় যে সে নাচ শিখতে চায়। ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার নাচের ভিডিও দেখত। আর আমি নাচও শেখাতাম। সেখান থেকে যুজবেন্দ্র আমার ছাত্র হওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি তাঁকে শেখাতে রাজি হয়েছি।’ হ্য়াঁ, একথাতেই বেশ বোঝ যায়, ধনশ্রীর কাছে নাচ শিখতে গিয়েই একে অপরের প্রেমে পড়েন শিক্ষিকা ও ছাত্র।
এই দুজন বেশ কয়েক মাস ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র তদন্তের শিকার হয়েছেন এবং স্বর্গের সমস্যা সম্পর্কে ইন্টারনেটে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এই জুটি ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করার খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে পুরো বিষয়টি শুরু হয়েছিল।
প্রসঙ্গত বহুদিন ধরেই যুজবেন্দ্র-ধনশ্রীর সম্পর্কে ফাটলের কথা শোনা যাচ্ছিল। ইনস্টাগ্রাম থেকে 'চাহাল' পদবী ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেন ধনশ্রী। তবে 'চাহাল' পদবী বর্জনের আগে ইঙ্গিতপূর্ণ ইনস্টাস্টোরিতে ধনশ্রী লিখেছিলেন, ‘নতুন জীবন লোডিং হচ্ছে।’ এরমাঝে যুজবেন্দ্র চাহালও ইনস্টাগ্রামে ধনশ্রীর সঙ্গে সমস্ত ছবি মুছে ফেলেন। তখন থেকেই তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর চাহাল এবং ধনশ্রী প্রায়শই ইনস্টাগ্রামে রহস্যময় পোস্ট শেয়ার করেছেন, সম্ভাব্য ভাঙনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এদিকে ধনশ্রী এবং যুজবেন্দ্রর পোস্ট নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়, ঠিক তখনই শোনা যাচ্ছিল চাহালের থেকে ধনশ্রী নাকি ৬০ কোটি টাকা খোরপোষ চেয়েছেন। যদিও এখর পুরোটাই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে বর্মার পরিবার। তাঁরা একটা বিবৃতি জারি করে বলেন, এইরকম ভিত্তিহীন খবরে আমরা ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ।