গ্রীষ্মকালে শরীরে🐷র তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। অতিরিক্ত ঘাম, জলশূন্যতা এবং হজমের সমস্যা প্রায় সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। এই সময়ে প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য খাবারের দিকে ঝুঁকলে শরীর অনেকটাই সুস্থ রাখা সম্ভব। থানকুনি পাতা, যা বাংলার ঘরে ঘরে পরিচিত একটি ভেষজ উদ্ভিদ🌊, গরমের দুপুরের খাবারে পাতে রাখলে পেট ঠাণ্ডা থাকে।
থানকুনি পাতার গুণাগুণ
থানকুনি পাতা শরীরের অতিরিক্ত তাপ দূর করতে সাহায্য𓄧 করে। এই পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও ডায়ুরেটিক উপাদান রয়েছে। এটি শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ♔্কার রাখে, প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত নুন ও টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, থানকুনি পাতায় থাকা উপাদান হজম শক্তি বাড়াতে এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কার্যকর।
আরও পড়ুন - কাজের চাপে জেরবার🐎, বুঝতে চাইছে না প্রিয়তম মানুষটি? এভাবে কথা বলে দেখতে পারেন
গরমে অনেকেরই হজমে সমস্যা হয়। থানকুনি পাতাবাটা খেলে গ্যাস্ট্রিক, বদহজম ও পেট ফাঁপার সমস্যা কমে। দুপুরের খাবারে ভাতের সঙ্গে থানকুনি পাতাবাটা মিশিয়ে খেলে পেট ঠান♓্ডা থাকে এবং খাবার সহজে হজম হয়। বিশেষ করে যাঁরা প্রতিদিন বাইরে কাজ করেন এবং প্রখর রোদের মধ্যে সময় কাটান, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য এই পাতাবাটা খুবই সহায়ক।
থানকুনি পাতা বাটা রেসিপি
উপকরণ
- থানকুনি পাতা – ১ কাপ (পরিষ্কার ধোয়া)
- কাঁচা লঙ্কা – ১-২ টি (রুচি অনুযায়ী)
- রসুন – ২ কোয়া (ঐচ্ছিক)
- নুন – স্বাদমতো
- সরষের তেল – ১ চা চামচ (পরিবেশনের সময়)
আরও পড়ুন - ৩০ বছর বয়সে সিংহাসনত্যাগ! মহাবীরের এই কাহিনি আজও বহু জীবনের অনুপ্র🍸েরণ♍া
প্রণালী
১। প্রথমে থানকুনি পাতা ভালোভাবে ধুয়ে ন💛িন যাতে মাটি বা ধুলো না থাকে।
২♔। একটি গ্রাইন্ডারে থানকুনি পাতা, কাঁচা লঙ্কা, রসুন ও নুন একসঙ্গে দিয়ে পিষে বা ব্লেন্ড করে বাটা তৈরি করুন।
৩। এবার একটি বাটিতে পরিবেশন করুন💫 এবং ওপরে কিছু সরষের তেল ছড়িয়ে দিন।
প্রতিদিনের খাবারে, বিশেষ করে গরমের দিনে, থানকুনি পাতাব🀅াটা রাখলে শরীর ঠান্ডা থাকে, হজম ভালো হয়। এটি যেমন সস্তা তে🔯মনই উপকারী।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি চিকিৎসকের মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এটি সমস্যাটি সম্পর্কে সাধারণ ধারণার উপর আলোকপাত করা মাত্র। ব্যক্তিবিশেষে প্রতিটি সমಌস্যার চিকিৎসা এবং নিরাময়ের পদ্ধতি পৃথক। তাই যে কোনও সমস্যায় শুধুমাত্র এই প্রতিবেদনের কথায় ভরসা না রেখে, ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকের বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।