পরবর্তী খবর
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > নীল ষষ্ঠীর উপোসে সাবু মাখা খাবেন? দেখুন কী বলছেন পুষ্টিবিদ
সারাদিনের উপোস শেষে সাবু মাখা। আর তাতেই মেলে এক স্বর্গীয় তৃপ্তি। অনেকে তো আবার এই সাবুমাখা খাবার লোভেই উপোস করে থাকেন। কিন্তু এত ধরনের খাবার থাকতে কেন এই সাবু মাখাই কেন? যুগ যুগ ধরে কেন এই রীতি চলছে, তা কখনও ভেবেছেন?
ট্যাপিওকা পার্ল (tapioca pearl) বা সাবুদানা বহু পুষ্টিগুণে ভরপুর। এমনই ব্যাখ্যা করলেন পুষ্টিবিদ দেবরূপা ভট্টাচার্য। দেখুন কী বলছেন তিনি:
- এটি গ্লুটেন ফ্রি এবং নন এলার্জিক। ফলে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ কোনও সমস্যা ছাড়াই খেতে পারবেন।
- ইনস্ট্যান্ট এনার্জির দুর্দান্ত উত্স এটি। আর উপোস ভাঙ্গার পরে সেটাই আমাদের ভীষণ প্রয়োজন । ১০০ গ্রাম সাবুতে ৩০০ কিলো ক্যালরির বেশি শক্তি মেলে।
এর নিউট্রাল ফ্লেভারের কারণে খুব সহজেই অন্যান্য উপাদান যোগ করে নানান রেসিপি তৈরি করা যায়।
আরও পড়ুন : গরমে খান পান্তা ভাত, রয়েছে অশেষ উপকারিতা
- সাবুতে অল্প পরিমাণে রেজিস্ট্যান্স starch থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়ানো যায়।
- এছাড়াও সাবুদানা খেয়ে ব্লোটিং, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা হয় না।
- প্রোটিন এবং ফ্যাটের পরিমাণ অত্যন্ত কম। ফলে যে সমস্ত রোগীর প্রোটিন এবং ফ্যাট কম খেতে হয়, তাঁরা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় সাবু রাখতে পারেন।
- সাবুতে কিছু ভিটামিনের পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু সাধারণত সাবু মাখাতে বিভিন্ন ফল যোগ করা হয়। ফলে সেই ঘাটতি কিছুটা পূরণ হয়ে যায়।
- সাবুতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণও যথেষ্ট। ফলে এটি বেশ উপকারী।
ফলে নীল ষষ্ঠীর উপোসই হোক, বা সকালের ব্রেকফাস্ট, সাবু মেখে খেলে উপকার পাবেন। তাই আর দেরি কীসের! খানিক নারকেল, দুধ, মিষ্টি, ফল দিয়ে সাবু মেখে ফেললেই হয়!