🔯 'গত ৪৮ ঘণ্টার সফল অপারেশনে জম্মু ও কাশ্মীরে ৬ জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।' এমনটাই জানিয়েছেন আইজিপি কাশ্মী💜র ভিকে বিরদি। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর তৈরি করা হয়েছিল ১৪ জন স্থানীয় জঙ্গির ‘হিট লিস্ট’। গত ২দিনের সেনা অভিযানে জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ান এবং ত্রালেতে সেই তালিকায় থাকা ৬ জঙ্গি নিহত হয়েছে।মঙ্গলবারের পর বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের ত্রালে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় ৩ জঙ্গি।
সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, নিহত জঙ্গি🍎দের নাম আসিফ আহমেদ শেখ, আমির নাজির ওয়ানি ও ইয়াওয়ার আহমেদ ভাট। তারা ৩ জনই স্থানীয়। সবাই জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য বলে সন্দেহ কর🧸া হচ্ছে।
ভি ফোর🌞্সের জিওসি মেজর জেনারেল ধনঞ্জয় যোশী বলেন, 'জঙ♓্গিরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, আমরা ঠিক তাদের খুঁজে বের করব।' তিনি বলেন, ১২ মে নিরাপত্তা বাহিনী কেলারে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতির কথা জানতে পারে। পরের দিনই তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযান চলাকালীনই সন্ত্রাসীরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। সেখানেই গুলি বিনিময়ে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
দ্বিতীয় অভিযানটি হয় দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার অবন্তীপোরার নাদের ত্রালের সীমান্তবর্তী গ্রামে। জেনারেল ধনঞ্জয় জোশী বলেন, 'আমরা যখন ওই গ্রামটি ঘিরে ফেলছিলাম, তখন জঙ্গিরা বিভিন্ন বাড়ি থেকে আমাদের উপর গুলি চালায়। সেই সময় আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, গ্রামবাসীদের উদ্ধার ক🥃রা। এরপরে তিনজন জঙ্গিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। দুই অভিযানে নিহত ৬ জঙ্গির মধ্যে একজন, যার নাম শহিদ কুট্টে, দুটি বড় হামলায় জড়িত ছিল, যার মধ্যে একজন জার্মান পর্যটকের উপর হামলাও রয়েছে। তহবিল সংগ্রহেও তার হাত ছিল।'
অন্যদিকে আইজিপি কাশ্মীর ভিকে বিরদি বলেন, 'শেষ ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে আমরা দুটি সফল অপারেশন করেছি। সোপিয়ান ও ত্রালে এই অপারেশন হয়েছিল। তাতে মোট ৬ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসের কোমর ভেঙে দিতে বদ্ধপরিকর।' তিনি আরও বলেন, 'পহেলগাঁও হামলার পর কিছু এলাকাকে ফোকাস করা হয়েছিল। এই এলাকাগুলিতে নজরদার🍃ি চালানো হচ্ছিল। গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে যে তুষার গলে যাওয়ার পর সন্ত্রাসবাদীরা জঙ্গলের উঁচু এলাকায় চলে গেছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে, পাহাড়ের ঘন জঙ্গলের উপর ফোকাস করা হয়েছিল।'
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী হিসেবে পরিচিতไ কুট্টে একাধিক হামলার সাথে জড়িত, যার মধ্যে ৮ এপ্রিল শোপিয়ানের ড্যানিশ রিসর্টে গুলি চালানোর ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত, যেখানে দুই জার্মান পর্যটক এবং তাদের ড্রাইভার আহত হন। ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালিয়ে ২৬ জন ভারতীয় পর্যটককে হত্যা করে।