নয়া বছরের শুরুতেই মার্কিন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মার্কেটকে নাড়িয়ে দিয়েছে চিন। ওপেনএআই-এর তৈরি চ্যাটজিপিটির থেকে অনেক সস্তায় সমমানের একটি এআই অ্যাপ তৈরি করেছে চিন। নাম - ডিপসিক। এর জেরে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার শেয়ারগুলি সব নিম্নমুখী। এরই মাঝে এবার ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করলেন, চ্যাটজিপিটি, জেমিনি, ডিপসিকের মতো ভারতও নিজেদের এআই মডেল আনতে চলেছে শীঘ্রই। এবং সেই এআই মডেল আগামী ১০ মাসের মধ্যেই আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে বলে দাবি করেন অশ্বিনী। (আরও পড়ুন: ইউনুসের সরকার থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন ২ উপদেষ্টা, আচমকা কী হল বাংলাদꦜেশে?)
আরও পড়ুন: না ‘নিষিদ্ধ’,ꦿ না কর্মসূচি করতে দেওয়া হচౠ্ছে! আওয়ামি লিগ কি সত্যি ২৬ মার্চ ফিরবে?
লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের উপর কাজ করে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স অ্যাপগুলি তৈরি করা হয়। এরই মাঝে দাভোসে সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছেন, ভারতের নিজস্ব এআই সিস্টেম তৈরির জন্য লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলকে ১৮ হাজার ৬৯৩ জিপিইউ-এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, 'এআই মডেলের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই ফ্রেমওয়ার্ক লঞ্চ করা হবে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বজায় রেখে এআই মডেল তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য।' তিনি জানান, ইন্ডিয়া এআই কম্পিউট ফেসিলিটিতে লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের প্রশিক্ষণের কাজ চলবে। মন্ত্রীর কথায়, 'ডিপসিক এআই ২ হাজার জিপিইউ-র মাধ্যমে প্রশিক্ষিত। চ্যাট জিপিটি প্রশিক্ষিত ২৫ হাজার জিপিইউ-র মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার হাই এন্ড জিপিইউ রয়েছে আমাদের। এর মধ্যে ১০ হাজার জিপিইউ অপারেশনাল। এআই মডেল তৈরির বিষয়টি নিয়ে জোরকদমে কাজ চলছে। ৬ মেজর ডেভেলপার এর উপরে কাজ করছে। আগামী ৪-৬ মাসের মধ্যেই এই মডেল তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা। যদিও এআই মডেল লঞ্চের জন্য ৮-১০ মাস লাগবে।' (আরও পড়ুন: ১ ফেব্রুয়ারি 🌸থেকে এই UPI লেনদেনগুলি বাতিল হয়ে যাবে...ജ জানুন বিশদে)
এর আগে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের ক্ষেত্রে আমেরিকার একাধিপত্যে থাবা বসায় চিন। সম্প্রতি ডিপসিক-আর১ নামে একটি ওপেন-সোর্স রিজনিং মডেল চালু করেছে চিনা স্টার্꧂ট-আপ ডিপসিক। যা একাধিক মাপকাঠিতে ওপেন এআইয়ের ‘ওয়ান১’ মডেলকে টেক্কা দিচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। আর তার দু'দিন পরেই নিজেদের ফ্ল্যাগশিপ এআই মডেলের উন্নততর ভার্সন চালু করেছে বাইটডান্স। বিশেষত সেই লড়াইয়ের ক্ষেত্রে ডিপসিকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কয়েক মাস আগেও সেই স্টার্ট-আপের বিষয়ে বেশি কেউ জানতেন না। কিন্তু আচমকা সেই স্টার্ট-আপই সিলিকন ভ্যালির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। ওই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, অঙ্ক এবং রিজনিংয়ের একাধিক মাপকাঠিতে মার্কিন সংস্থা 'ওপেন এআই'-কে পিছনে ফেলে দিয়েছে চিনা স্টার্ট-আপ।