আরও অস্বস্তিতে পড়লেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর কন্যা সাইমা ওয়াজেদ পুতুল। একটি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ঢাকার আদালত। তাঁদের সঙ্গে আরও ১৭ জনের বিরু𓃲দ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি করে জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাঁদের বি﷽রুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনার দলের সাংসদ 💝জেল থেকে ছাড়া পেতেই বেদম মার! কোনও মতে উদ্ধার ♉করল সেনা
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী✤, মহানগরের বিশেষ বিচারক মহম্মদ জাকির হোসেন গালিব মামলায় তদন্তকারী সংস্থা দুদকের চার্জশিট গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করেছেন। সংস্থার আইনজীবী মীর আহমেদ সালাম এবিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচল এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের লিজ দেওয়া জমি নিয়ে দুদক ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং 🦂অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অন্যান্য অভিযুক্তরা বেশিরভাগই সরকারি আধিকারিক।
অভিযোগ অনুযায়ী, পুতুল পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পে জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন, নিয়ম, নীতি এবং আইনি প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করে জমি পেয়েছিলেন। জমি পেতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মা হাসিনা নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন। দুদকের অভ🔯িযোগ, ঢাকা শহরে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে পুতুল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের একটি বাড়ি, ফ্ল্যাট বা আবাসন থাকা সত্ত্বেও তিনি এই কাজ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমান পুতুল বর্তমানে নয়াদিল্ল𝓰িতে অবস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্🅺চলিক ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর আগে শেখ হাসিনা তাঁর দলের কর্মী এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং জোরপূর্বক গুম করে দেওয়ার অভিযোগে দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে হাসিনা ভারতে পালিয়ে আসার পরই দেশটিতে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়। তারপর থেকেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একেরপর এক দুর্নীত๊ি এবং অপরাধের অভিযোগে মামলা শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়ে আগেই ভারতকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে তার উত্তর পাওয়া যায়নি।