ভারতের আপত্তির মুখে চলতি বছরের প্রস্তাবিত পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ নৌমহড়া বাতিল করেছে শ্রীলঙ্কা। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ত্রিনকোমালি উপকূলের কাছে এই মহড়া হওয়ার কথা ছিল। এই সেই ত্রিনকোমালি যেখানে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যৌথভাবে একটি জ্বালানি কেন্দ্র গড়ে তুলছে। এই আবহে পাক নৌবাহিনীর মহড়া নিয়ে শ্রীলঙ্কা সরকারের কাছে ভারত নিজেদের উদ্বেগের বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করেছিল। যার পরে এই যৌথ মহড়ার পরিকল্পনাটি বাতিল করা হয়। (আরও পড়ুন: গতকালই ব🐻িয়েতে মুখ্যমন্ত্রীর উপহার পেয়েছিলেন, আর আজ সেই মমতাকেই তুলোধনা দি🧸লীপের)
আরও পড়ুন: 'যৌন♈ নিপীড়নও হয়েছে', ঘরছাড়াদের মুখে ওয়াকফ হিংসার কথা শুনে🌊 বিস্ফোরক NCW
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শ্রীলঙ্কা সফরের কয়েক সপ্তাহ আগে এই নৌ মহড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এদিকে মোদীর সফরের সময়, ভারত ও শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছিল। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে একটি ত্রিপক্ষীয় শক্তি প্রকল্প স্বাক্ষর করে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। এই প্রকল্পে একটি বহু-পণ্য পাইপলাইন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার তেল ট্যাঙ্ক ফার্মের উন্নয়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। (আরও পড়ুন: রাজৌরিতে অধ্যাপককে মারধর𓄧ের অভিযোগ জও🐎য়ানদের বিরুদ্ধে, তদন্তের নির্দেশ সেনা)
আরও পড়ুন: বিয়ে করার পরদিন মর্ꦐনিংওয়াকে দিলীপ, ঘাম ঝরানোর সাথে সাথে করলেন 'ক্যালোরি ইনটেক'
পরে এই মহড়ার কথা জানতে পেরেই কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশন শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এবং বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ 🐲প্রকাশ করে। ভারত স্পষ্টভাবে বলেছে যে এই অঞ্চলে তার গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে এবং এই ধরনের মহড়া ভারতের সুরক্ষা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে। সূত্রের খবর, এই মহড়াকে 'পাক উস্কানি' হিসেবে দেখছিল ভারত। এর পরে, শ্রীলঙ্কা প্র🌜শাসন নীরবে মহড়াটি বাতিল করে, যদিও পাকিস্তানের পক্ষ এর বিরোধিতা করেছিল।
ত্রিঙ্কোমালির তাৎপর্য কী?
শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালি একটি প্রাকৃতিক গভীর জলের বন্দর এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এখন এই ত্রিঙ্কোমালিতে গড়ে উঠবে একটি বড় শক্তি কেন্দ্র। এই প্রকল্পের আওতায় মাল্টি প্রোডাক্ট পাইপলাইন, অয়েল ট্যাঙ্ক ফার্ম এবং লজিস্টিক পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। ইন্ডিয়ান অয়েলের শ্রীলঙ্কা শাখা ইতিমধ্যেই এই ট্যাঙ্ক ফার্মগুলির একটি অংশ পরিচালনা করছে। এই প্রকল্প সংক্রান্ত মউ এমন একটা সময়ে স্বাক্ষরিত হল যখন চিন হাম্বানটোটা বন্দর এবং শ্রীলঙ্কায় ৩.২ বিলিয়ন ডলারের তেল শোধনাগারের মতো বড় প্রকল্পের কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের এই প্রকল্প শ্রীলঙ্কায় চিনকে পাল্লা দিতে পারে। উল্লেখ্য, মাঝে মাঝেই নিজেদের 'গুপ্তচর জাহাজ' নিয়ে এসে শ্রীলঙ্কায় নোঙর ফেলতে চায় চিন। এতে ভারত দীর্ঘিন ধরে আপত্তি জানিয়ে আসছে। এই আবহে মোদীর সফরকালে দিশানায়েকে ভারতকে আশ্বাস দেন, শ্রীলঙ্কার মাটি ব্যবহার করে ভারতের ক্ষতি করতে দেওয়া হবে না কাউকে। এরই মাঝে ত্রিঙ্কোমালির কাছে পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ মহড়া বাতিল করল শ্রীলঙ্কা। এর আগে বিদেশি গবেষণা জাহাজ ভ্রমণের ওপর এক বছরের নিষেধাজ্ꦅঞা আরোপ করেছিল শ্রীলঙ্কা। যার জেরে চিনের গোপন অভিসন্ধিতে জল ঢেলেছিল শ্রীলঙ্কা।