স্থানীয়রাই প্রথমে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন উদ্ধারকাজে। অন্তত ২০০-৩০০জনকে উদ্ধার করেন তাঁরা। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে তাঁরা উদ্ধার করে আনেন আহতদের। একাধিক দেহকেও তারা ওই অভিশপ্ত ট্রেন থেকে বের করে আনেন। সুব্রত পাল নামে এক যাত্রী এএনআইকে জানিয়েছেন, বালাশোর স্টেশনের পরেই প্রচন্ড ঝাঁকুনি হয়েছিল।স্থানীয়রাই উদ্ধা✅র করে নিয়ে আসে আমাদের। অপর এক যাত্রী সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এস ৫ কামরায় ছিলাম। চেন্নাইয়ে যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে কেরলে যেতাম। প্রচন্ড আওয়াজ হচ্ছিল। তারপর ট্রেনটা থেমে যায়।আসলে পেটের টানে দক্ষিণভারতে যাচ্ছিলেন অনেকে। পথেই সব শেষ।
এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদ সংস্♈থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ৩০০-৪০০জনকে ভেতর থেকে বের করে আনি। স্থানীয় মার্কেটে ছিলাম। আওয়াজ শ💝ুনে ছুটে যাই। প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছেন। আমরা সকলে মিলে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
সূত্রের খবর, মৃত্যুর সংখ্য়া ৩০০ ছুঁতে পারে। বাংলার অন্তত ৩১জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়। এই সংখ্য়াটাও বাড়তে পারে। ৫৪৪জন জখম হয়েছেন। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে গিয়েছিলেন দুর্ঘ𝕴টনাস্থꦚলে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে ওড়িশার ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার ছায়া পড়েছে বাংলাতেও। একাধিক পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়। বাংলার বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য চেন্নাইতে যাচ্ছিলেন। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। আবার পেটের টানেও ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন বাংলার বেকার যুবকরা। অনেকেরই নিথর দেহ ফিরবে বাড়িতে। একরাশ কালো অন্ধকার চেপে বসেছে ওই পরিবারে। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে তারা🌳 যাচ্ছিলেন ভিনরাজ্যে। কিন্তু সেই পরিবারে নেমে এল একরাশ অনিশ্চয়তা। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা কেড়ে নিল প্রাণ।