গত মাসের সেই আতঙ্ক আবার ফিরে এল ইন্ডিগো বিমানের যাত্রীদের মধ্যে।প্রবল বৃষ্টি ও ধুলোঝড়ের জেরে দিল্লিতে অবতরণের আগেই মাঝআকাশে আটকে পড়ে রায়পুর থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিগোর বিমান।দিল্লিতে অবতরণের ঠিক আগেই ধুলোঝড়ের মধ্যে পড়ে বিমানে প্রবল ঝাঁকুনি হয়। শেষ পর্যন্ত অবতরণ বাতিল করতে বাধ্য হন পাইলট। গত ২১ মে এমনই এক দুর্যোগের সময় দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী একটি বিমানের সামনের অংশ ভেঙে গিয়েছিল। পাইলটের তৎপরতায় যাত্রীরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন। যদিও এবার তেমন কোনও বিপত্তি ঘটেনি।
জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে আসছিল ইন্ডিগোর ফ্লাইট ৬ই ৬৩১৩। বিকেল ৫টা বেজে ৫ মিনিটে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল বিমানটির।কিন্তু বিমানটি অবতরণের সময় প্রবল ঝাঁকুনির মধ্যে পড়তেই দ্রুত সেটিকে আবার উপরের দিকে নিয়ে যান পাইলট। আকাশেই কিছুক্ষণ ঘুরপাক খাওয়ার পর বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানো হয় দিল্লি বিমানবন্দরে। ইতিমধ্যে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি বিমানের কেবিনের ভিতরে তোলা। সেখানে দেখা গেছে, বিমানটি থরথর করে কাঁপছে। জানালা দিয়ে বাইরে যতটুকু দেখা যাচ্ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম। পাইলট ঘোষণা করছেন, হাওয়ার গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সেই কারণে তিনি বিমানটি অবতরণ করাতে গিয়েও ফের উপরের দিকে উঠিয়ে নেন। আবহাওয়া পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আকাশেই ঘুরতে থাকে বিমানটি।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিমান চলাচল ব্যহত হতে পারে বলে আগেই যাত্রীদের সতর্ক করেছিল দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে দিল্লিগামী অন্তত ৪টি বিমানের যাত্রাপথ বদল করতে হয়েছে। গত মাসে নয়াদিল্লি থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে যাওয়ার পথেও খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছিল ইন্ডিগো সংস্থারই আরও একটি উড়ান। সেই বিমান যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দলও।
রবিবার বিকেলে দিল্লিতে বজ্রপাত-সহ ঝড়-বৃষ্টি হয়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, পূর্ব-দক্ষিণপূর্বগামী মেঘের কারণেই আচমকা রাজধানীর আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ হয়।দিল্লির দক্ষিণ অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটা বেগে ঝড় বইতে শুরু করে। দিল্লি বিমানবন্দর এলাকায় বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছেছিল। সোমবারও বজ্রপাত-সহ ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে দিল্লিতে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।