বছর শেষে ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে ইসরোর স্প্যাডেক্স মিশনের সফল উৎক্ষেপণ। মহাকাশ বিজ্ঞানের আরও এক অধ্যায়ে সাফল্যের দাপট ধরে রেখে মাইলস্টোন পার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের।
ইসরোর পিএসএলভি সি৬০ উৎক্ষেপণ সফল।
ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল বছর শেষে। এদিন অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয় ভারতের স্প্যাডেক্স মিশনের। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর বুক বাঁধা আশাকে সফল করে মহাশূন্যের দিকে এগিয়ে যায় ইসরোর পিএসএলভিসি৬০। যার মধ্যে রয়েছে চেজার ( SDX01) ও টার্গেট ( SDX02) স্পেসক্রাফ্ট। মূলত,মহাকাশে স্পেস ডক পরীক্ষাকে টার্গেট করে এগিয়েছে এই মিশন। এর আগে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের দিক থেকে নাম উঠে এসেছে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের। সেই তালিকায় চতুর্থ নাম জুড়ে গেল ভারতের।
স্প্যাডেক্সের সফল উৎক্ষেপণের সঙ্গেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা বিজ্ঞান কেন্দ্র ইসরোর মুকুটে আরও একটি পালক জুড়ে গেল। ইতিহাস রচনা করে মহাশূন্যে পাড়ি দিল স্প্যাডেক্স মিশন। কাউন্টডাউন আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। তারপর ঠিক রাত ১০ টাতেই সময়মতো নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যায় স্প্যাডেক্স মিশন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, কক্ষে স্প্যাডেক্স স্পেসক্রাফ্ট সফলভাবে নিহিত হয়েছে। ফলে, ইসরোর হাত ধরে মহাকাশ বিজ্ঞানে ধীরে ধীরে ভারত যে দাপট দেখাতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।
প্রশ্ন থাকতে পারে, কী লাভ হতে পারে এই প্রযুক্তির দ্বারা? তার উত্তর চমকে দেওয়ার মতো। এই প্রযুক্তি আগামীতে মহাকাশে মানব অভিযানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, চন্দ্রাভিযানেও এর গুরুত্ব থাকবে, এছাড়াও স্পেস স্টেশন গঠনের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ।
জানা যাচ্ছে, গুলির থেকে ১০ গুণ গতিতে ছুটে মহাকাশে ঘুরতে ঘুরতে দুই স্পেসক্রাফ্ট জুড়ে যাওয়ার কথা। আর সেই বিস্ময়কর কাজ এবার করে দেখাতে চলেছে ইসরো। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা দুটো স্পেসক্রাফ্ট একত্রিত হওয়ার কথা। গোটা দেশের নজর সেকারেণ আজ ইসরোর দিকে। ২৫ ঘণ্টার কাউন্টডাউন শেষে এদিন এই পিএসএভি উৎক্ষেপণ হয়। ৪৪.৫ মিটারের পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যালে দুটি ওজন ২২০ কেজির স্পেসক্র্যাফ্ট ছিল। আর সেটিই এই মিশনের অন্যতম বড় অঙ্গ ছিল। যার হাত ধরে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে স্প্যাডেক্স মিশনের।