মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকের সময়ই নরেন্দ্র মোদীর তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ঢাকার তরফ থেকে যেন এমন কোনও কিছু বলা না হয়, যাতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এরই মাঝে বাংলাদেশের 'হাসিনা বিরোধী' ছাত্রনেতা সারজিস আলম যেন হুঁশিয়ারির সুরে সুসম্পর্কের বার্তা দিলেন ভারতকে নিয়ে। ইউনুসের সঙ্গে মোদীর বৈঠকের পরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সারজিস আলমকে। এই আবহে এনসিপি নেতা বলেন, 'শ্রদ্ধা ও সমতা থাকলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক থাকবে। তবে এই সমতার সম্পর্কে কেউ আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে, সেই চোখ রাঙ্গানিকে আর মেনে নেওয়া হবে না।' এরপর সারজিস আরও বলেন, 'শুধু ভারত নয়, সমতা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সকল দেশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।' (আরও পড়ুন: '...যথেষ্ট আন্তরিক', মোদী-ইউনুসের ৪০ মিনিটের বৈঠকে 'আনন্দ পেয়েছে' BNP)
আরও পড়ুন: ভারতকে শুল্কে ছাড় দিতে পারেন ট্রাম্প? মার্কিন রিপোর্টে সামনে এল নয়া দাবি
আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় নাগরিককে খুন, মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত রহস্য, মুখ খুলল দূতাবাস
উল্লেখ্য, বিগত দিনে বাংলাদেশে ইসকন বিরোধী মনোভাব তৈরিতে উস্কানি দিতে দেখা গিয়েছিল এই সারজিসকে। বিভিন্ন সময় ভারত বিরোধী মন্তব্য করতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে। এহেন সারজিসের গলায় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা থাকলেও তাতে যেন ছিল প্রচ্ছন্ন এক হুমকির সুরও। এদিকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিষয় থেকে উস্কানিমূলক মন্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনও ব্যক্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অপরদিকে ইউনুসের তরফ থেকে শেখ হাসিনার ইস্যু উত্থাপন করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: 'ইউনুসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে তৎপর ভারতীয় RAW এজেন্টরা...')
আরও পড়ুন: ভারতে ওয়াকফ সংশোধনী পাশ হতে বাংলাদেশ থেকে 'কান্নার সুর' ভাসাল জামাতের ছাত্রশিবির
আরও পড়ুন: 'বাবু...', নিহত বায়ুসেনা পাইলটের দেহ জড়িয়ে কান্না বাগদত্তার, দেখুন সেই ভিডিয়ো
মোদী-ইউনুস বৈঠক নিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, 'গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে সীমান্তে অনুপ্রবেশ আটকানো নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদিকে এমন কিছু যেন না বলা হয়, যাতে উত্তেজনা বাড়ে। এদিকে বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিষয় নিয়ে তদন্তের আর্জি জানান। এদিকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টির ওপর বাংলাদেশি সরকারকে জোর দিতে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী।' এদিকে এই বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। এছাড়া তিস্তা এবং গঙ্গা নিয়ে কথা হয়েছে দুই নেতার। আলোচনা ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।'