পাকিস্তানের অর✤্থনীতির হাল যে আদতে কতটা বেহাল, তা তাদেরই প্রকাশ করা একটি পরিসংখ্য়ানে স্পষ্ট হয়ে গেল। সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দেশ থেকে পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করে এবং ধরে ধরে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। যার থেকেই স্পষ্ট, দেশে রোজগারের দিশা না পেয়ে বিদেশে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্ღতি করছেন পাকিস্তানিদের একটা বড় অংশ!
পাকিস্তানের জাতীয় আইনসভায় এই সংক্রান্ত একটি লিখিত বিবৃতিও জমা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই বিবৃতি অনুসারে - ২০২৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ মোট ৫,৪০২ জন পাকিস্তানি ভিক্ষুককে ধরে তাঁদের স্বদে🎶শে ফেরত পাঠিয়েছে!
এই দেশগুলির মধ্য়ে রয়েছে - সৌদি আরব, ইরাক, মালয়েশিয়া,🌼 সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কাতার এবং ওমান। তথ্য বলছে, শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই ৪,৮৫০ জন পাকিস্তানি ভিক্ষুককে এই সমস্ত দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যার মধ্য়ে সৌদি আরব থেকে ফেরত আসতে হয়েছে ৪,৪৯৮ জনকে এবং ইরাক থেকে দেশে ফিরতে হয়েছে ২৪২ জনকে।
তুলনায় মালয়েশিয়া কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থ🔴েকে পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের দেশে ফেরত পাঠানোর সংখ্যাটা কম। যথাক্রমে - ৫৫ এবং ৪৯।
এই ধারা চলতি বছরও (২০২৫) অবಞ্যাহত রয়েছে। এবছর এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৫৫২ জন পাকিস্তানি ভিক্ষুককে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে একা সৌদি আরবই ফেরত পাঠিয়েছে ৫৩৫ জনকে। এছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইরাক 𒀰থেকে যথাক্রমে - ৯ এবং ৫ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমই প্রকাশ করেছে, সম্প্রতি ফেডারেল ইনভ🍌েস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) সৌদি আরবের বিমানে ওঠার আগেই তিন মহিলা ভিক্ষুককে আটকে দেয়! সূত্রের দাবি, ওই তিন মহিলা ভিক্ষুক পুর্ণার্থীর ছদ্মবেশে সৌদি আরবে ঢোকার ছক কষেছিলেন।
জানা গিয়েছে, ওই তিন মহিলার কাছে স⛄ৌদি আরব থেকে ফেরার টিকিট এবং সেখানকার কোনও হ▨োটেলের বুকিং সংক্রান্ত নথি ছিল না। এতেই সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। তাঁরা ওই তিনজনকে করাচি বিমানবন্দরে আটকে দেন। এর আগে একই কারণে ওই তিনজনকে লাহোর বিমানবন্দরেও আটকানো হয়েছিল!