'জাতিগণনার সিদ্ধান্ত এনডিএ সরকারের সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করছে।' এমনই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দে✅শজুড়ে জাতিগণনার ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার। লোকসভা নির্বাচন থেকে ল🔜াগাতার জাতিগণনার দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বারবার এই দাবিতে সরব হয়েছেন। তাই দুই রাজ্যের নির্বাচনের আগে মোদী সরকারের জাতিগণনার ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই আবহে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন,🥂 এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হয়নি, বরং এটি সরকার কর্তৃক চিন্তাভাবনা করে গৃহীত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জনগণনা মূলত ২০২১ সালে হওয়ার কথা ছিল, তবে এখন রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আগামী জনগণনায় জাতি ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ ও অন্তর্ভুক্ত করা🗹 হবে।তিনি আরও বলেন, প্রায় এক বছর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।দেশের সব স্তরের মানুষ দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এরপরেই কংগ্রেসকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'বুধবার যখন জাতিগণনার ঘোষণা করা হয়েছিল তখন কয়েকজন ব্যক্তি বিরক্ত হয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন সরকার উনকি হ্যায়, সিস্টেম হামারা হ্যায় (সর💫কার তাদের, কিন্তু সিস্টেম আমাদের)। দেশকে সত্য শুনতে হবে। ১৯৫১ সালে কার সরকার ছিল এবং কার ব্যবস্থা বলবৎ ছিল... ১৯৩১ সালে স্বাধীনতার আগে দেশে শেষ জাতিভিত্তিক জনগণনা করা হয়েছিল।' কংগ্রেসকে সংরক্ষণ-বিরোধী বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'যদি বি আর আম্বেদকর এবং মহাত্মা গান্ধী না থাকতেন তাহলে কোনও সংরক্ষণ থাকত না...প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু জাতিভিত্তিক কোটার বিরোধী ছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন যে সংরক্ষণ বাস্তবায়িত হলে যোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'
ধর্মেন্দ্র প্রধান আরও জানান, 'তৎকালীন জনতা পার্টি সরকারের অংশ জনসংঘ মণ্ডল কমিশনকে সমর্থন করেছিল। সেই রিপোর্ট ১০ বছর ধরে স্থগিত রাখা হয়েছিল। তখন কে ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করত এবং কে সরকার চালাত...ജকংগ্রেস দলই ছিল। ভিপি সিং সরকার যখন মণ্ডল কমিশন রিপোর্ট কার্যকর করেছিল, তখন বিজেপিই সেই সরকারকে সমর্থন করেছিল।' তিনি বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা রাজীব গান্ধীও অন্যান্য অন꧂গ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) জন্য সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছিলেন। তাই সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রশ্নে বিজেপিকে কংগ্রেসের কাছ থেকে কোন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই।
কেন্দ্রের ঘোষণা অন🤡ুযায়ী, আগামী জনগণনার অংশ হবে জাতিগণনা। অর্থাৎ দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে কোন জাতির সংখ্যা কত, কোন সম্প্রদায়ের মধ্য়ে কত উপজাতি রয়েছে, তার সব হিসেব থাকবে। ২০২১ সালেই জনগণনা হওয়ার কথা 🌸ছিল। সেই সময় কোভিড মহামারির জন্য জনগণনা পিছিয়ে গিয়েছিল।