ভারত🍒–পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে ৯ দিন। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ১০০ কিলোমিটার ভিতরেও জঙ্গি ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ করে। এই কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে 🍷প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে সেনাবাহিনীর বীরত্বের কথা। এর পরেও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সোমবার নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। আবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রকে বিকল্প প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বৈঠকে পহেলগ🍸🎃াঁওয়ের জঙ্গিহানা থেকে শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তার পরবর্তী ঘটনাপরম্পরা নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে আলোচনা হয়। তারপর এই বৈঠকে সব শেষে বলতে চেয়ে কমিটির চেয়ারম্যান শশী থারুরের কাছে অনুরোধ করেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তাই কমিটির সকল সদস্যদের নানা প্রশ্নের পরে দু’টি প্রশ্ন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের প্রশ্ন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ১০০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে কি পহেলগাঁও পর্যটকদের উপর হামলাকারী জঙ্গিরা আছে? ওই চারজন জঙ্গি এখন কোথায়?
আরও পড়ুন: বর্ষায় এবার ইলিশ মাছের আকাল দেখা দিতে পারে, কেন এমন আশঙ্কা? বাঙালির পাতে অনিশ্চয়তা
অভিষেকের দ্বিতীয় প্রশ্ন নাকি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বক্তব্য নিয়ে। ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে তাঁর ভূমিকা আছে। এমনই দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিষেকের প্রশ্ন, এই ঘটনা যদি সত্য না হয়, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি খারিজ করতে ভারত সরকার কী করেছে? আমেরিকাকে কি কোনও ল🏅িখিত প্রতিবাদ প🦩ত্র পাঠানো হয়েছে? এই দু’টি প্রশ্নের করেন বলে সূত্রের খবর।
যদিও এখানে অন্য দু'টি কথাও উঠে আসতে বাধ্য। পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিদের নিয়ে অভিষেক যে প্রশ্ন করেছেন, সেটা নিয়ে মিশ্রির জবাব দেওয়ার কথা নয়। তিনি বিদেশ সচিব, স্বরাষ্ট্র বা💎 প্রত𝐆িরক্ষা সচিব নন। তাই ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই বৈঠকে প্রশ্নটা করা আদৌ যুক্তিসঙ্গত কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর মিশ্রি আগেই দিয়েছেন। অতএব, সেটি নিয়েও নতুন করে আর কিছু বলার নাও থাকতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের মত।
এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলেননি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুধু প্রতিনিধি পাঠানো নিয়ে মন্তব্য করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা যদি ঐকমত্যে পৌঁছতে পারি এবং সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় সেক্ষেত্রে সাংসদদের পরিবর্তে পাঠানো উচౠিত শহিদ পরিবারের সদস্যদের। যাঁরা বেঁচে ফিরে এলেন। সেনাবাহিনীর যাঁরা সামনে থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের পাঠানো হোক। তাঁরাই রাতের পর রাত জেগে থেকে ভারতবাসীকে নিশ্চিন্তে ঘুমোনোর সুযোগ করে দিয়েছেন। কেন্দ্র এখন যদি পাঁচজনের নাম চায় আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে দিয়ে দেব। তাতে ইউসুফের নাম থাকতে পারে, না🎶ও পারে। কিন্তু সেটা ঠিক করবে তৃণমূলই। কেন্দ্র নয়।’