প্রথম সৌদির মাটিতে আয়োজন করা হল সাঁতারের পোশাক বা স্নানপোশাক পরিহিত মহিলাদের নিয়ে ফ্যাশন শো। গোটা বিশ্ব সেই 'ঐতিহাসিক' মুহূর্তকে চাক্ষুষ করল।
সুইমস্যুট পরে ব়্যাম্পে হাঁটার মুহূর্ত
রক্ষণশীলতার বেড়াজাল ভেঙে এ যেনও এক নতুন সৌদি আরব। বেশ কিছু সময় আগে থেকেই মহিলাদের পোশাক নিয়ে কমতে শুরু করেছে বিধিনিষেধের বহর। আর এবার সেই মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। গোটা বিশ্ব সেই 'ঐতিহাসিক' মুহূর্তকে চাক্ষুষ করল। এই প্রথম সৌদির মাটিতে আয়োজন করা হল সাঁতারের পোশাক বা স্নানপোশাক পরিহিত মহিলাদের নিয়ে ফ্যাশন শো।
সৌদিতে উদযাপিত হচ্ছে রেড সি ফ্যাশন উইক। শুক্রবার ছিল তার দ্বিতীয় দিন। আর সেদিনি আয়োজন করা হয়েছিল এই বিশেষ ফ্যাশন শোয়ের। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের ধারে বসে ছিল এই ফ্যাশন শোয়ের আসর। এদিন মডেলদের পরনে ছিল স্নানপোশাক বা সুইমস্যুট যা মূলত ওয়ান পিস। লাল, ধূসর, নীল, সবুজ, কমলা, গোলাপি নানা রঙের মেলা বসেছিল এই শোয়ে। মডেলদের পোশাকে রঙের পাশাপাশি ঢঙেরও বৈচিত্র ছিল ঢের। কেউ ছিলেন উন্মুক্ত কাঁধে, তো কারও শরীরের মধ্যভাগও ছিল অর্ধেক উন্মুক্ত। কেউ কেউ নিম্নাঙ্গে বেঁধেছিলেন সারং, আবার বাঁধেননি এমনও অনেকে ছিলেন। কেউ কেউ আবার মাথা ঢেকেই পরে ছিলেন সুইমস্যুট।
মরক্কোর ডিজাইনার ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি স্নানপোশাকে সেজে উঠেছিলেন মডেলরা। এই উৎসবের অংশ হতে পেড়ে উচ্ছ্বাসিত ইয়াসমিনাও। সংবাদ সংস্থা AFP-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পোশাকের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই রুচিশীল স্নানপোশাক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই ফ্যাশন শোয়ে অংশ হতে পেরে আমি খুব খুশি।"
একদশকের কম সময় আগের কথা, তখনও পর্যন্ত সৌদির মহিলাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখার নিয়ম ছিল। তবে বর্তমানে ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সৌদি। সৌদি আরবের এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলও। ফলে সব মিলিয়ে বলাই যায় এক দারুণ নজির গড়ল সৌদি।
সৌদির সরকারি ফ্যাশন কমিশনের গত বছরের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে ২০২২ সালে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ১২.৫ বিলিয়ন ডলার এসেছে, যা জাতীয় জিডিপির ১.৪ শতাংশ।