একের পর এক বিস্ফোরণের কেঁপে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানা। তার ফলে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কালো এবং বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে যায় আকাশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। থানায় মজুত থাকা বাজিতে বিস্ফোরণের ফলে এই বিপত্তি। হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খাগড়াগড় বিস্ফোরণে প্রাথমিক শিক্ষককে NIA তলব, ডাক পেলেন হতদরিদ্র টোটোচালকও!
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে হঠাৎই বিস্ফোরণে কেঁপে পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মাধবপুর এলাকায় ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত ডায়মন্ড হারবার থানা। প্রচুর বাজি মজুত থাকায় পরপর বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। স্থানীয়দের দাবি, অনেকদূর পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ডায়মন্ড হারবার দমকল বিভাগ থেকে একাধিক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গোটা এলাকা নিরাপত্তাজনিত কারণে মুড়ে ফেলে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডায়মন্ড হারবার থানার পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করে মজুত রাখা হয়েছিল। সেখানেই হঠাৎই আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে ডায়মন্ডহারবার শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়।
সাধারণত প্রায়ই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করে থাকে। বুধবারও পুলিশ প্রচুর পরিমাণে বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেগুলি থানার বিল্ডিংয়ের পাশেই মজুত রাখা ছিল। সেখানেই কোনওভাবে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। কীভাবে আগুন লাগল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বাজ পড়ে বাজিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তারফলে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এরফলে থানার মূল ভবনের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেল লিখেছেন, ‘অবৈধ বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।’