অন্যান্য সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় হয়েছে গ্রামবাংলার মাটিতে। শহর সংলগ্ন অঞ্চলে তেমন নির্বাচন দেখা যায়নি। এবার কলকাতার ঘেঁষা গড়িয়া অঞ্চলে ‘দ্য বোড়াল ইউনিয়ন কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড’ সংস্থায় নির্বাচন হল। এই সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে যা ফলাফল দাঁড়াল তা বিরোধীদের কাছে বেশ চাপের। কারণ তারা প্রার্থীই খুঁজে পায়নি। বাম–বিজেপি তাই এখানে খাতা খুলতেও পারেনি। এই দুই বিরোধী দলের কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় ২৬ বছর পর ‘দ্য বোড়াল ইউনিয়ন কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডে’ ৬৯টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। আর এই ফলাফল স🔥ামনে যখন এল তখন শহরে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ শেষ।
গ্রামবাংলার নানা সমবায় নির্বাচনে দেখা গিয়েছে প্রার্থী দিয়েও হেরে গিয়েছে বিরোধীরা। আবার জোরদার টক্কর দিয়েও হেরেছে। এমনকী রাম–বাম জোট করেও সমবায় নির্বাচনে হেরেছে। কিন্তু প্রার্থীই দিতে না পেরে হেরে যাওয়া অত্যন্ত চাপের বিষয়। কারণ ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার আগে যদি গ্রামবাংলা থেকে শহর সর্বত্রই হারের নজির থাকে তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে খেলা কঠিন হয়ে পড়বে। আর রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাꦚর এই বৃহত্তম সমবায় ব্যাঙ্কেও একই ছবি দেখা গেল। নেই বিরোধীরা। জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। হাতে সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছেন নির্বাচন পরিচালন কর্তৃপক্ষ। এই সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম এবং রাজপুর–সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ই𒀰ন কাউন্সিল নজরুল মণ্ডল।
আরও পড়ুন: পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দমকলের ১০টি ইঞ্জিন কাজ করল, আহত ৫
১৯৩০ সালে এই সমবায় ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত। ২০০১ সালের পর তৎকালীন বামপন্থী পরিচালন পর্ষদের হাতে এসে লোকসানে পড়ে। ২০১২ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এই সমবায় ব্যাঙ্কের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে। ২০১৭ সালে নতুন সিইও নিয়োগ হয়। তারপর রাজ্য সরকারের সহায়তায় ঘুরে দাঁড়ায় এই সমবায় ব্যাঙ্ক। আর ২০২২ সালে লাভের মুখ দেখে এই ব্যাঙ্ক। তবে এই সমবায় ব্যাঙ্কে শেষ নির্বাচন ღহয়েছিল ১৯৯৯ সালে। ২০০২ সালে নির্বাচিত পরিচালন পর্ষদ বিলুপ্ত হয়। আর নির্বাচন হয়নি। এবার নির্বাচন হতেই উন্নয়নের নিরিখে⛄ ফলাফল হল।
এই ফলাফল সামনে আসায় খুশি তৃণমূল কংগ্রেস। গত ৮ মার্চ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। ৮ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। একদা সিপিএমের দূর্গ বলে পরিচিত বোড়ালে ৬৯টি আসনের মধ্যে একটিতেও মনোনয়ন জমা দিতে সক্ষম হয়নি বিরোধীরা। আর ফলাফল আসার পর স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৯৪টি সামাজিক প্রকল্প রয়েছে। আর সারা বছর মান♒ুষের পাশে তৃণমূল থাকে। তার জন্যই সমবায় নির্বাচনেও একজন বিরোধীদের হয়ে মনোনয়ন🐓 জমা দেননি।’