রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে দিদি-মোদীকে এক বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের একগুচ্ছ দাবিদাওয়া সামনে ꦍরেখে আগামী ২০ মে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামেরা। সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই পালটা তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিআই(এম)-কে একই বন্ধনীতে রেখে একের পর এক বাক্যবাণ ছুড়লেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
তাঁর দাবি,♈ বামেরা মুখে যতই 'দিদি'র সমালোচনা করুক না কেন, পশ্চিমবঙ্গে সিপিআই(এম) দলটিকে জিইয়ে রেখেছে সেই তৃণমূল কংগ্রেসই! দিলীপের কথায়, 'বাংলায় সিপিআই(এম)-কে স্যালাইন দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেꩵ তৃণমূল!'
দিলীপের বক্তব্য, বর্তমানে সিপিআই(এম) এতটাই দুর্বল যে তাদের অস্তিত্ব রক্📖ষার জন্যও তৃণমূল কংগ্রেসকেই আর্থিক সহযোগিতা করতে হয়! দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমরা যে লাল ঝান্ডা দেখতে পাই, সেটাও তৃণমূলের লোকেরা লাগিয়ে দেয়! সিপিআই(এম) পার্টি অফিস চালানোর পয়সাও দেয় তৃণমূল! ওদের চা খাওয়ার পয়সাও তৃণমূলই দেয়!'
অর্থাৎ, দিলীপ ঘোষের বা𓆉র্তা হল - তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতাতেই আজ বাংলায় কোনওরকমে টিকে রয়েছে সিপ𝕴িআই(এম)।
প্রসঙ্গত, প্রতিবারের মতো বামেদের গতকালের (রবিবার - ২০ এপ্রিল, ২০২৫) ব্রিগেডেও ভালোই ভিড় হয়েছিল। এ নিౠয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দিয়েছেন কটাক্ষের সুরে।
বিজেপির প্র💃াক্তন রাজ্য সভাপতির এই প্রসঙ্গে ম🗹ন্তব্য হল - 'আমরা বাঙালিরা যেমন দুর্গাপুজোর পর সবাই মিলিত হই, তেমনই ওরা প্রতি বছর ব্রিগেডে আসেন। খাওয়া দাওয়া করেন।'
একইসঙ্গে, মেহনতি ♛মানুষের দাবিদাওয়া সামনে রেখে আগামী ২০ মে বামেদের ডাকা ধর্মঘটকেও পাত্তা দিতে রাজি হননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'সিপিআই(এম) ধর্মঘট ডাকছে বা কী করছে, তাতে ভারতবর্ষের লোকের কীꦕ এসে যায়? ওরা কোথায় আছে? আসলে ওরা যে আছে, মানুষকে এটা বোঝানোর জন্য মাঝেমধ্যে এই ব্রিগেড করতে হয়, ধর্মঘট ডাকতে হয়!'
বামেদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, আজ (সোমব💫ার - ২১ এপ্রিল, ২০২৫) দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দল পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে শালবনির মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা গেলেও কার্যত এই প্ল্যান্টের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন দিলীপ।
তাঁর কথায়, '১৪ বছরে উনি কতগুলো শিলান্যাস করেছেন, আর তার মধ্যে কতগুলো বাস্তবের মুখ দেখেছে, তার তালিকা প্রকাশ করুন। বছর বছ🌼র বিজনেস সামিট করেন, তাতে বাংলার আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে কিনা, আদৌ কোনও বিনিয়োগ এসেছে কিনা, তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।'