পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ করে পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। আর তাতেই সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছেন দেশের তামাম বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীরা। হামলার ১৫ দিনের মাথায় এমন যোগ্য জবাব দেওয়ায় দেশবাসী এখন আনন্দিত। সিঁদুরের জবাব পাল্টা সিঁদুরে মেঘ দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পরিকাঠামোয় সরাসরি আঘাত করা হয়েছে। শিলিগুড়ির চিকেন নেকেও বসল ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। যাকে মিসাইল লঞ্চার বলে।
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীও জানিয়েছে যে, পাকিস্তানের নানা জায়গায় বিমান আক্রমণ প্রতিরোধী র্যাডারের উপর আঘাত করা হয়েছে। লাহোরের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিকল করা হয়েছে বলেও সেনাবাহিনী জানিয়েছে। সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে যে, গতকাল সারারাত পাকিস্তান ক্ষেপনাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের উপর আঘাত হানার চেষ্টা করে গিয়েছে। তার জবাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাকিস্তানের সেনা পরিকাঠামো লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়েছে। বাংলাদেশ, চিন, নেপাল, ভূটান ঘেরা বাংলার চিকেন নেককে সুরক্ষিত রাখতে কোনওরকম ত্রুটি রাখছে না ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রায় সাড়ে ২২ কিমি দীর্ঘ শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডরে বসানো হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। সারফেস টু এয়ার মিসাইল লঞ্চার বা স্যাম বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মাছও সুফল বাংলার স্টলে বিক্রি করতে হবে’, নবান্ন থেকে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। এখন যেন আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ না থাকে। সবাই আমরা দেশের পক্ষে। আপনাদের দায়বদ্ধতা আছে। এখন খুব শান্ত এবং সংযত থেকে মানুষকে সঠিক তথ্য দিতে হবে। যেটা পরিবেশন করা সম্ভব। যাতে কোনও অশান্তি না হয়, কোনও প্ররোচনা না হয়, কোনও হিংসা ছড়ায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান করছি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের, সীমান্তে যাঁরা আছেন, তাঁদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সবাই আমরা দেশের পক্ষে।’