জেপি নড্ডা এর আগেই বিবৃতি জারি করে বিজেপির সকল সদস্যকেই সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছিলেন, কেউ যেন বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ে বিরূপ কোনও মন্তব্য না করেন। মূলত সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বিস্ফোরক হওয়ার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির। এর জেরেই জেপি নড্ডাকে সেই মন্তব্য থেকে দলের দূরত্ব তৈরি করতে হয়েছিল। তবে নড্ডার নির্দেশ এক কান দিয়ে ঢুকল, অন্য কান দিয়ে বের হয়ে গেল বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের। বাংলার এই বিজেপি বিধায়ক এবার চলমান বিতর্কে নিশিকান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নিজেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এই ইস্যুতে। (আরও পড়ুন: গেলেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা, বন্ধ হল মুর্শিদাবাদেরꦇ ��ঘরছাড়াদের আশ্রয় শিবির)
অগ্নিমিত্রা পাল এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'ওঁ (নিশিকান্ত দুবে) তো সঠিক কথাই বলেছেন। রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করেন। তাহলে প্রধান বিচারপত কীভাবে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অমান্য করেন? কীভাবে দেশের নীতি নির্ধারক ও নির্বাচিত সাংস🅷দদের সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করেন? যদি প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্ট দেশ পরিচালন করে, তবে সংসদের কোনও প্রয়োজন নেই। সব প্রধান বিচারপতিই করুক।'
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলা মামলার শুনানির আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এদিকে শুধু ওয়াকফ নয়, সম্প্রতি রাজ্যপাল এবং রাষ্টﷺ্রপতির বিল সই নিয়ে সুপ্রিম ক✅োর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন নিশিকান্ত। এই নিয়ে গত ১৯ এপ্রিল বার্তাসংস্থা এএনআইকে নিশিকান্ত দুবে বলেছিলেন, 'দেশে ধর্মীয় যুদ্ধ উস্কে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট দায়ী। সুপ্রিম কোর্ট তার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যদি সবকিছুর জন্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়, তাহলে সংসদ এবং রাজ্যের বিধানসভাগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।'
এরই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে তোপ দেগে তিনি আরও বলেছিলেন, 'নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে আপনি কী💛ভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন? রাষ্ট্রপতি ভারতের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করেন। সংসদ এই দেশের আইন প্রণয়ন করে। আপনি কি সেই সংসদক𒊎ে নির্দেশ দেবেন?... আপনি কীভাবে একটি নতুন আইন তৈরি করছেন? কোন আইনে লেখা আছে যে রাষ্ট্রপতিকে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে? এর মানে হল আপনি এই দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে চান। যখন সংসদ বসবে, তখন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।' এদিকে বিজেপির অপর সাংসদ দীনেশ শর্মা আবার বলেন, 'লোকসভা ও রাজ্যসভাকে নির্দেশনা দেওয়ার এক্তিয়ার নেই কারও।'
পরে জেপি নড্ডা এক বিবৃতি জারি করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি তাতে বলেছিলেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টি সর্বদা বিচার বিভাগকে সম্মান করে এসেছে এবং সবসময়ই বিচার ব্যবস্থার আদেশ ও পরামর্শ গ্রহণ করে দল। কারণ একটি দল হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি যে সুপ্রিম কোর্ট সহ দেশের সমস্ত আদালত আমাদের গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সংবিধানের সুরক্ষার শক্তিশালী স্তম্ভ। আমি তাদে🥀র দুজনকেই (নিশিকান্ত দুবে এবং দীনেশ শর্মা) এবং অন্য সকলকে এই ধরনের বক্তব্য না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।' তবে বিতর্ক এতে থামছে না। বিজেপির অন্দরে নিশিকান্তের বুলি শোনা যাচ্ছে অনেকেরই মুখে। বিরোধীরা আবার অভিযোগ করেছেন, বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা আদতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।