রাজ💦্যে একাধিক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেগুলি নিজের খরচে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের কাজের জোয়ার এসেছে। উত্তরবঙ্গের ডাবগ্রামে দাঁড়িয়ে রীতিমতো কাজের হিসাব দিয়ে বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিলেন মুখ্🐓যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে যেমন তুলোধনা করেছেন তেমন বিরোধীদেরও কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে আজ, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে গিয়ে বসেন জন বারলা। সদ্য তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এখানেই যাঁরা উন্নয়ন দেখতে পান না তাঁদেরকে বার্তা দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে আগে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আরও ১৬ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে উৎকর্ষ কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ হয়েছে চার কোটি টাকা। অনেকে না বুঝে নেগেটিভ সংবাদ করেন। আবার অনেকে বলছেন, কত টাকা বিনিয়োগ হবে? সেটা তো বলল 🍎না। কেন বলবে? এটা শিল্পপতিদের স্বাধীনতা। দেউচা পাঁচামিতে কত হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে জানেন? দাঁত থাকতে আমরা কেউ দাঁতের মর্ম বুঝি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে বাংল🎐ার বদনাম করছে।’
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মারে মাথায় ব্যান্ডেজ পড়ল স্বামীর, বাগদায় তুলকালাম কাণ্ড, থানায় অভিযোগ দায়ের
অন্যদিকে আজ উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের দ্বিতীয় দিন। আর সেখানে ডাবগ্রাম–ফুলবাড়িতে প্রশাসনিক সভা থেকে নানা তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এই মঞ্চ থেকে বিরোধীদের তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘যাঁরা চোখে উন্নয়ন দেখতে পান না তাঁরা পিঠে কুলো, কানে তুলো আর চোখে ঠুলো পড়ে আছেন। কাগজে লেখার জায়গা꧑ আছে তো? পর্যটনে বাংলা শ্রেষ্ঠ জায়গা। প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা তুলে দিচ্ছে। যাঁরা মাটির মানুষ তাঁদের সম্মান করুন। যে মেধা মাটি থেকে তৈরি হয়ে ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে সেটাই আসল মেধা। যাঁরা মাটি থেকে উঠে আসেন তাঁদের আমি বেশি সম্মান করি। তাঁদের দিকে ফিরে দেখুন। মনটাকে মুক্ত করুন। বদ্ধ করবেন না।’
এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরও যে উন্নয়ন চলছে সারা রাজ্যে সেটা দেখতে বলেছেন তিনি। বিজেপি যে কোনও কাজ করেনি তাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আসতে আসতে সব কাজ করে দেবো। আমি ম্যাজিশিয়ান নই। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বকেয়া পাইনি। জিএসটি নিয়ে চলে যায়। সেই টাকা ঠিক মতো দেয় না। তারপরও উন্নয়নের কাজ চল🍨ছে। বিজেপির এক নেতা ভোটের আগে বলেছিলেন চা–বাগান খুলে দেওয়া হবে। একটাও খুলতে পারেনি। আমরা খুলে দিয়েছি। টাকার হিসাব করছেন লজ্জা করে না। কাজ নেই কর্ম নেই সারাদিন সমালোচনা করা।ꩲ নিজেরা মাপেন কতটা ভাত খেলেন। আমাকে মনুষ্যত্ব শেখাবার আগে মানুষ তৈরি করা দরকার। শুধু ডিগ্রি থাকলেই হয় না। সেটা মানুষের কাজে ব্যবহার হলে তবেই সাফল্য।’