আগামী ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ২৯ জুন ভোটের ফল ঘোষণার কথা। এই নির্বাচনের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে আদালত সেক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বলেই দাবি করলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ২৬ জুন নির্বাচনের সমস্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
পুরভোটের ফল ঘোষণার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিটিএ নির্বাচন করার কথা জানিয়েছিলেন। ২৪ মে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে দার্জিলিংয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন জেলাশাসক। সেই বৈঠকে অবশ্য বিজেপি এবং জিএনএলএফ উপস্থিত ছিল না। তারপরে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। মামলাকারী জিটিএ নির্বাচনকে অবৈধ বলে দাবি করেন। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, বাম আমলে সংবিধান সংশোধন করে পাহাড়ে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তৈরি করা হয়। এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।